কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। কৃষি প্রধান এ দেশের কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এ অঞ্চলের সেচের পানির অভাব দূর করতে হবে। সকল পতিত জমিকে চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে হবে। নদী খাল খনন ও সেচ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও উন্নত সেচ বিতরণ ব্যবস্থার ব্যবহার বৃদ্ধি করে সেচের পানির অপচয় রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, গবেষকদের গবেষণালব্দ জ্ঞান কৃষির উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাওর এলাকায় গবেষণা কর্মকা- আরো জোরদার করার আহবান জানান।
তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর এর উদ্যোগে আয়োজিত সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি আবাদ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে ও ব্রি প্রশিক্ষণ বিভাগের সিনিয়র লিঁয়াজো অফিসার ড. মোঃ আব্দুল মোমিনের পরিচালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এসএম শহীদুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাজিয়া শরীন, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, পরিচালক ড. মোঃ খালেকুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ আব্দুল লতিফ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী এনডিসি, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুন নবী মজুমদার, সিলেট অঞ্চলে আগামী বোরো উৎপাদন কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন খান।
কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সংস্থার সম্প্রসারণবিদ,প্রকৌশলী, গবেষক, সার বীজ ডিলার ও কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে ড. মোঃ মনিরুজ্জামান বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে সিলেট বিভাগে প্রায় ২৬ ভাগ জমি পতিত থাকে। এছাড়াও যেটুকু জমিতে আবাদ করা হয়, সেখানে সেচের পানির অভাবে ফলন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। নদী খাল খনন, ভূগর্ভস্থ পানিতে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করা,উন্নত সেচ বিতরণ পদ্ধতি স্থাপনের মাধ্যমে হাওর এলাকার ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বিপুল পরিমাণ পতিত জমি আবাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন,সিলেট এলাকার কৃষি উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় সেচের পানির অভাব। এ সেচের পানির অভাব দূর করার জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের কয়েকটি স্থানে শ্যালো টিউবওয়েল স্থাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাই এক সাথে কাজ করলে সিলেটের অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে বলে তিনি জানান। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুন নবী মজুমদার, সিলেট অঞ্চলে আগামী বোরো উৎপাদন কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন খান।
কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সংস্থার সম্প্রসারণবিদ,প্রকৌশলী, গবেষক, সার বীজ ডিলার ও কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে ড. মোঃ মনিরুজ্জামান বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে সিলেট বিভাগে প্রায় ২৬ ভাগ জমি পতিত থাকে। এছাড়াও যেটুকু জমিতে আবাদ করা হয়, সেখানে সেচের পানির অভাবে ফলন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। নদী খাল খনন, ভূগর্ভস্থ পানিতে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করা,উন্নত সেচ বিতরণ পদ্ধতি স্থাপনের মাধ্যমে হাওর এলাকার ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বিপুল পরিমাণ পতিত জমি আবাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন,সিলেট এলাকার কৃষি উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় সেচের পানির অভাব। এ সেচের পানির অভাব দূর করার জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের কয়েকটি স্থানে শ্যালো টিউবওয়েল স্থাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাই এক সাথে কাজ করলে সিলেটের অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে বলে তিনি জানান। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস