‘সতীদাহ’ হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি বিতর্কিত প্রথা হিসেবে বহুল প্রচলিত ছিল। এতে হিন্দু বিধবা নারীকে স্বামীর সাথে একই চিতায় সহমরণে বাধ্য করা হতো। রাজা রামমোহন রায়ের মতো হিন্দু সমাজ সংস্কারকদের দাবির মুখে ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করেন বৃটিশ গভর্ণর উইলিয়াম বেন্টিংক। সেই থেকে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিক শুভ সস্ত্রীক পূজো দেখতে গেলেই স্বরুপে ফেরেন পূজোর আয়োজকরা। ‘সতীদাহ’ প্রথার বিরোধিতা করে সমালোচনা করায় তার উপর চড়াও হন ১০/১২ জনের একটি দল। শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি হেনস্থা করেন তার স্ত্রীকেও।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভ। এতে ৯ জনের নামোল্লেখের সাথে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এব্যাপারে হৃদয় দাশ শুভ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সতীদাহ একটি বর্বর কু-প্রথা। ২০০ বছর আগে আইন করে এটি বিলুপ্ত করার পাশাপাশি এর জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে। বর্তমান যুগে এসে এই থিমে পূজোর আয়োজন সেই বর্বরতাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। আমি এর সমালোচনা করলে তার তাদের ভূল স্বীকার করে আমাকে পূজোয় আমন্ত্রণ করেছে। আমিও সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেখানে গিয়েছি। সেখানে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালায়।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার নাকরলেও ব্যাপরটিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবেই উল্লেখ করেছেন সুরশ্রী যুব সংঘের সভাপতি মান্না পাল পলাশ। তিনি বলেন, আসলে ‘সতীদাহ’ থিমটি করা হয়েছিলো সতীদাহ যে খারাপ একটি প্রথা সেই সম্পর্কে বোঝাতে। কিন্তু তিনি (শুভ) নাবুঝেই আমাদের পূজোর থিম নিয়ে একদিন আগে একটি উস্কানিমূলক পোস্ট দেন। এতে আমাদেরকে নানামূখী সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তারপরও আমরা পূজোর থিম পাল্টে নতুন করে আয়োজন করি। এরপর পূজোর দিন তিনি আমাদের প্যান্ডেলে এসেও উল্টাপাল্টা কথা বললে সেখানে ‘চ্যাংড়া পোলাপাইন’ উত্তেজিত হয়ে তার সাথে তর্কে জড়ায়।
তবে পূজোর থিম হিসেবে সতীদাহ কতটা যুক্তিযুক্ত সে ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হয় শ্রীমঙ্গল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হরিপদ রায়-এর সাথে। তবে সুরশ্রী যুব সংঘের প্রসঙ্গ আসতেই তিনি বলেন, আমি একটা মিটিং-এ আছি এব্যাপারে আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস