সিলেট

আদালতে যা বললেন খাদিজা

কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

রোববার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। সাক্ষ্য প্রদানের একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আদালতে তিনি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

আদালত সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১২টায় সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন খাদিজা। এ সময় বদরুল উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি কিছু বলার জন্য বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন।

আদালতে খাদিজা বলেন, ‘গত বছরের ৩ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল ৫টার সময় এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে এক বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে আসার সময় বদরুল আমার পথরোধ করেন। তিনি আমার ওপর ধারালো চাপাতি দিয়ে হামলা চালান। আমাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেন।’

সাক্ষ্য প্রদানের একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খাদিজা। এ সময় আইনজীবীরা তাকে সান্ত্বনা প্রদান করেন। এরপর খাদিজা বলেন, ‘বদরুল আমাকে অনেকটা প্রতিবন্ধী করে দিয়েছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খাদিজাকে ফের প্রশ্ন করেন, আপনি বদরুলের কি ধরনের শাস্তি দেখতে চান? খাদিজা ফের বলেন, ‘আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

সাক্ষ্য প্রদান শেষে বদরুলের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান খাদিজাকে জেরা করেন। তিনি খাদিজাকে প্রশ্ন করেন, ‘বদরুলের সঙ্গে আপনার পরিচয় কিভাবে হয়েছিল?’

প্রত্যুত্তরে খাদিজা বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি আমাদের বাড়িতে লজিং মাস্টার ছিলেন।’

এরপর আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান আদালতে বদরুলের সঙ্গে খাদিজার একটি ছবি প্রদর্শন করেন। এ সময় বাদীপক্ষের এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানান।

বদরুলের আইনজীবী খাদিজাকে বলেন, ‘বদরুলের সঙ্গে আপনার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল।’ খাদিজা তা অস্বীকার করেন। আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘যেখানে সেদিন ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে আপনি (খাদিজা) স্বেচ্ছায় বদরুলের সঙ্গে গিয়েছিলেন।’ খাদিজা এ বিষয়টি অস্বীকার করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এলএবাংলাটাইমস/এস/এলআরটি