আইটি

ইন্টারনেটের বিকল্প নিয়ে আসছেন ইন্টারনেটের উদ্ভাবক

ড. ফ্রাঙ্কেন্সটাইন যেমন তার তৈরি করা দানবের কাজে আতঙ্কিত ছিলেন, তেমনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের অর্থাৎ ইন্টারনেটের উদ্ভাবক টিম বার্নারস-লিও তার উদ্ভাবনের কুফলে বিরক্ত।

ইন্টারনেট ‘অসাম্য ও বিভাজনের উৎপাদনের যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

কিন্তু বার্নার্স-লি বিশ্বাস করেন তিনি এখন ইন্টারনেটের বিকল্প একটি ওয়েব উদ্ভাবন করেছেন যেখানে ইউজাররা ফেসবুক, অ্যামাজন ও গুগলের মতো ইন্টারনেট জায়ান্টকে এড়িয়ে চলতে পারবে।

সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রকল্পের নাম ‘সলিড’। এখানে ইউজাররা তাদের তথ্য কোথায় রাখবেন এবং কাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন বা কারা এগুলো দেখতে পারবে সেটা তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারবেন। বিপুল পরিমাণ তথ্য গুটিকয় বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের হাতে কুক্ষিগত হয়ে না থাকার ফলে ওয়েবের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে।

একটি ব্লগ পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখন ইউজাররা জরুরী মনে করায় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ডিজিটাল জায়ান্টগুলোকে দিয়ে থাকেন। কিন্তু সলিড এই ব্যবস্থা বদলে দিবে। আমরা সবাই দেখেছি প্রচলিত পদ্ধতি আমাদের জন্য বিশেষ উপকারী নয়।’

‘কার্যত সলিড প্রত্যেক ইউজারকে তাদের নিজস্ব ইন্টারনেট দিয়ে থাকে’, মার্কিন মাগাজিন ফাস্ট কোম্পানিকে জানান বার্নার্স-লি।

বিদেশি হ্যাকারদের দ্বারা ফেসবুকের তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদেরকে এখনই করতে হবে, কারণ এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

এছাড়াও, ‘আমরা এখন সলিডের জমানায় উপস্থিত’ হয়েছি, যোগ করেন তিনি।

অক্সফোর্ডে শিক্ষিত ৬৩ বছর বয়সী বার্নার্স-লি বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এমআইটি) সলিড প্রকল্পে কাজ করছেন। অক্সফোর্ডের সঙ্গে সঙ্গে তিনি এমআইটিতেও অধ্যাপনা করেন।

বার্নার্স-লি ইনরাপ্ট নামের একটি ব্যবসার উদ্যোগ শুরু করেছেন, যা সপ্তাহে উদ্বোধন করা হবে। এটির মাধ্যমে ইউজাররা সলিডে তাদের নিজস্ব বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।

সলিডের ইন্টারনেটের প্রযুক্তির মতোই কাজ করবে কিন্তু, বিভিন্ন অ্যাপ ও সাইটের সঙ্গে ডেভেলপারদের সলিডকে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রথম পর্যায়ের অ্যাপগুলোর বাজারে আনার কাজ চলছে, ইনরাপ্টের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানায় এনগ্যাজেট সাইট।

এলএবাংলাটাইমস/আইসিটি/এলআরটি