আইটি

অনলাইন ক্লাশ করতে পারেন যেভাবে


প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এই সময়ে বাড়ছে অনলাইন ক্লাশের গুরুত্ব। একই সাথে বেড়েছে অনলাইনে ভিডিও চ্যাটের হারও। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাশ। বিস্তৃত পরিসরে চালু না হলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সময়ে অনলাইনে ক্লাশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তাই চলুন অনলাইনে ক্লাশ করার ক্ষেত্রে আপনি অনেক মাধ্যম বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। তাই চলুন অনলাইন ক্লাশের কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম সম্পর্কে জেনে নেই।


ফেসবুক লাইভ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুককে নতুন করে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। জনপ্রিয়তার বিচারে ফেইবুক সবার শীর্ষে। ফেইসবুককে পড়াশোনার ক্লাসরুম বানিয়েও কাজে লাগাতে পারেন। এখানে কোর্সভিত্তিক আলাদা গ্রুপে লাইভ ক্লাস করতে পারেণ। তাছাড়া এখানে ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন ও নোটস বিনিময়েরও সুবিধা  আছে। ক্লাস চলাকালে কমেন্টে কেউ তাঁদের সমস্যার কথাও জানাতে পারবেন। ক্লাসে উপস্থিত না থাকতে পারলে, গ্রুপে ভিডিও থেকে যাবে। এতে করে পড়ে এই লাইভ ক্লাসগুলো দেখে নিতে পারবে যে কেউ।

ইউটিউব লাইভ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ারিংভিত্তিক সবচেয়ে বড় সাইট হচ্ছে ইউটিউব। এখানে কেউ চাইলে তাঁর নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চালু করতে পারেন ইউটিউব চ্যানেল। এই সকল চ্যানেলে বিষয়ভিত্তিক ক্লাসের ভিডিও আপলোড করার সুযোগও রয়েছে। সেইসাথে রয়েছে ‘প্রাইভেট’ অপশন চালু করে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদের দেখানোর সুযোগ। ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, রেজল্যুশন মিলিয়ে ইউটিউব অনলাইন ক্লাসের চমকপ্রদ সমাধান।

মাইক্রোসফট টিম

মাইক্রোসফট তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য বানিয়েছে মাইক্রোসফট টিম। অফিস ৩৬৫ ব্যবহারকারীর জন্য থাকছে মাইক্রোসফট টিম ব্যবহারের সুযোগ। ভিডিও আপলোডের সাথে এখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন। সেইসাথে ক্লাসের সবাইকে দলগত আলোচনার সুবিধা দিতে থাকছে চ্যাটবক্স। তবে নিয়ন্ত্রনের জন্য শিক্ষক নির্ধারিত বিষয়কে চ্যাটবক্সের একদম ওপরে রেখে দিতে পারেন। মাইক্রোসফট টিম ব্যবহার করার সময় সরাসরি ই–মেইল স্কাইড্রাইভ ও শেয়ার পয়েন্ট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। বরাবরের মতোই যেকোনো ডিভাইস থেকে এই টিম ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।

গুগল ক্লাসরুম

গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে এখন অনেকে ক্লাস নিচ্ছে। বিনা মূল্যে কোনো শিক্ষক চাইলে গুগল স্যুটে নিবন্ধন করতে পারেন। নির্ধারিত কোড দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন ওই ক্লাসে। একটি কোর্সে অসংখ্য ক্লাসের পাশাপাশি ২০ জন শিক্ষক তাঁদের ক্লাস যুক্ত করতে পারবেন। অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ ও ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করার সুযোগ থাকছে। ক্লাসরুমে থেকে যাওয়া ক্লাসের ভিডিওগুলো পরেও দেখা যাবে। এখানে যে কোনো ডিভাইস থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন অনলাইন ক্লাসে।

জুম

জুম অধিকাংশ সময় অফিসের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এখানে চাইলে বানিয়ে নেওয়া যায় ক্লাসরুম। সেইসাথে বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও সামান্য কিছু টাকা খরচ করলে, রয়েছে আধুনিক সেবা। এখানে একসাথে ১০০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেন। তবে বিনা মূল্যে প্রতিটি কনফারেন্সের সময় ৪০ মিনিট। এসবের বাইরে আরও অসংখ্য মাধ্যম রয়েছে অনলাইনে ক্লাশ করার। আপনি আপনার সুবিধা মতো সফটওয়্যার বেছে নিয়ে করোনার এই সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

এলএ বাংলা টাইমস/এমবি