আইটি

পদত্যাগ করলেন টিকটকের সিইও

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যে পদত্যাগ করলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেভিন মায়ার।


কর্মীদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে মায়ার জানান, তার চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তটি ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতির তীব্র পরিবর্তনের পরে’ এসেছে। 

সিইও হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন মায়ার। 

চিঠিতে মায়ার বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুমুল পরিবর্তন আসার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কর্পোরেট কাঠামোগত পরিবর্তনগুলোর জন্য কী প্রয়োজন এবং আমি যে বৈশ্বিক ভূমিকা পালনের জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তার ওপর সেসব পরিবর্তনের ভূমিকা কতটা, সে বিষয়ে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন দেখিয়েছি।“

“আমরা খুব শিগগিরই একটি সমাধানে পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছি। আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই যে আমি এই সংস্থা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” বলেন মায়ার।

মায়ার গত মে মাসে টিকটকে যোগদানের আগে ওয়াল্ট ডিজনির শীর্ষস্থানীয় স্ট্রিমিং এক্সিকিউটিভ ছিলেন।

মায়ারের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে টিকটক জানায়, “কেভিনের দায়িত্ব পালনের জায়গাটি যেভাবে সামনে এগিয়ে যেত, গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক চিত্র তাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। আমরা বিষয়টির প্রশংসা করি এবং কেভিনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাই। টিকটককে তার সময় দেওয়ার জন্য আমরা কেভিনকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানাই।”

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা করেছে টিকটক। টিকটকের অভিযোগ, ‘জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা’ ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করায় যথাযথ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে টিকটক।

ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, টিকটকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি’ তৈরি হচ্ছে। মার্কিন আইন প্রণেতারাও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্সের কাছে মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চাইতে পারে চীন সরকার। কিন্তু, এ ব্যাপারে  এখনো যথাযথ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি কেউই। পুরো ব্যাপারটিকেই ‘নিরাপত্তা শঙ্কা’ হিসেবে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।








এলএ বাংলা টাইমস/এমকে