আইটি

চাঁদে নভোযান পাঠানোর কাজ পেয়েছে ব্লু অরিজিন

চাঁদে নভোচারী পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা। এ লক্ষ্যে একটি নভোযান তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠান খুঁজছিল সংস্থাটি। শুক্রবার নাসার সঙ্গে মহাকাশযান নির্মাণের জন্য চুক্তি করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। নাসার এই কাজ পাওয়াকে ব্লু অরিজিনের জন্য বড় ধরনের জয় বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, দুই বছর আগে এ ধরনের আরেকটি কাজ হাতছাড়া হয়েছিল বেজোসের। ওই কাজ পেয়েছিল আরেক প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এবার ব্লু অরিজিন প্রতিরক্ষা সংস্থা লেইডোসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডাইনেটিকসকে হারিয়ে নাসার কাজ পেয়েছে। ব্লু অরিজিনের সঙ্গে নাসার এই চুক্তির অর্থমূল্য ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার। এ চুক্তির আওতায় ব্লু অরিজিনের তৈরি মহাকাশযানে করে চাঁদে নভোচারী পাঠানো হবে। এ লক্ষ্য নাসা আর্টেমিস নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর্টেমিস কর্মসূচির অধীনে নাসা চাঁদে নভোচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। তবে তাদের লক্ষ্য চাঁদের বিষুবীয় অঞ্চলে নভোচারী পাঠানো। ১৯৬০ ও ৭০–এর দশকে অ্যাপোলো যুগে বিষুবীয় অঞ্চল লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়েছিল। চাঁদের ওই ছায়াঘেরা অঞ্চলে বরফ থাকতে পারে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে আর্টেমিস কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। পরে তা বাইডেন প্রশাসন চালু রাখে। আগের দশকে নাসার কাজের ধারাবাহিকতার অভাব থাকলেও এবার বাইডেন প্রশাসন ধারাবাহিকতা রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। নাসার প্রশাসক বিল নেলসন সতর্ক করে বলেন, নাসার বাজেট যদি কোনোভাবে কাটা হয়, তবে চাঁদে অভিযানসহ অন্যান্য মিশনে তার প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা নাসার বাজেট কাটার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত শুক্রবার ক্যাপিটল হিলের এক অনুষ্ঠানে বিল নেলসন বলেন, যে ধরনের বাজেট কাটা নিয়ে কথা হচ্ছে, তা নাসার জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। নেলসন আরও বলেন, আর্টেমিস প্রোগ্রাম ঘিরে তাদের বড় লক্ষ্য রয়েছে। তাঁরা এমন একটি মিশন হাতে নিচ্ছেন, যাতে নভোচারীরা এক মাস পর্যন্ত চাঁদে থাকতে পারবেন। ব্লু অরিজিন ও বেজোসের দীর্ঘদিনের অগ্রাধিকার চাঁদে নভোযান পাঠানো। তিনি বলেন, নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিনকে ১৯৬৯ সালে চাঁদে হাঁটতে দেখা তাঁর কাছে অবিস্মরণীয় মুহূর্ত ছিল। ব্লু অরিজিন নাসার এই কাজ করবে লকহিড মার্টিন কর্প, বোয়িং, ড্রেপার ও রোবোটিকস ফার্ম অ্যাস্ট্রোবোটিকের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে। তারা ৫২ ফুট লম্বা ব্লু মুন নভোযান তৈরির পরিকল্পনা করেছে। নাসা বলেছে, ব্লু অরিজিনকে বেছে নেওয়ার কারণ তারা কম মূল্য দেখিয়েছে। এ ছাড়া চূড়ান্ত মিশনের আগে তারা নিজেদের খরচে দুটি পরীক্ষামূলক মিশন চালাবে। এলএবাংলাটাইমস/এজেড