দেশজুড়ে চলছে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট স্টারলিংক উন্মাদনা। এর মধ্যে কমতে শুরু করেছে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। ব্রডব্যান্ডে বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা। এক ব্যক্তি বা একটি ফোনে একাধিক সিম ব্যবহার করার পরও কমছে মোবাইল সিমের সংযোগ সংখ্যাও। 
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য মতে, গত জানুয়ারি পর্যন্ত আগের সাত মাসে ৯৪ লাখের মতো ইন্টারনেটের গ্রাহক এবং ১ কোটি ৩২ লাখ মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমেছে। 
বিটিআরসি প্রকাশিত গত ৬ মার্চ মুঠোফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত জুন মাসে মুঠোফোনের প্রাহক ছিল ১৯ কোটি ৬০ লাখ। কিন্তু চলতি 
বছরের জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৬৬ লাখে। ওই সময় ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল প্রায় ১২ কোটি ৯২ লাখ। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে কেউ একবার ব্যবহার করলেই তাকে মুঠোফোন গ্রাহক হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখে। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে দেশে এখন ইন্টারনেটের মোট গ্রাহক ১৩ কোটির মতো, যা গত জুনে ছিল প্রায় ১৪ কোটি ২২ লাখ। এই সময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক কিছু বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখের মতো। দেশজুড়ে বিস্তৃত সাড়ে তিন হাজারের মতো আইএসপি এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বহু জাতি তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং
রাষ্ট্রীয় একটি অপারেটর মোবাইল সেবা দিচ্ছে। দেশের প্রাচীনতম অপারেটর গ্রামীণফোনের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সক্রিয় ডেটা ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি ৯৩ লাখ। যা চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কমে হয় ৪ কোটি ৮০ লাখ। গ্রামীণফোনের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের গ্রাহকেরা ব্যয় কমিয়েছেন গড়ে ১৩ টাকা। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রাহকের মাসিক ব্যয় ছিল গড়ে ১৬১ টাকা। যা ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে হয়েছে ১৪৮ টাকা। রবির গ্রাহক প্রতি রাজস্ব ১৪৭ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। রবির আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ফোরজি ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৬৩ লাখ, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৩ কোটি ৭৬ লাখ। অপর অপারেটর বাংলালিংকের ২০২৩ অর্থবছরে বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছিল।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
			
				
			বছরের জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৬৬ লাখে। ওই সময় ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল প্রায় ১২ কোটি ৯২ লাখ। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে কেউ একবার ব্যবহার করলেই তাকে মুঠোফোন গ্রাহক হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখে। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে দেশে এখন ইন্টারনেটের মোট গ্রাহক ১৩ কোটির মতো, যা গত জুনে ছিল প্রায় ১৪ কোটি ২২ লাখ। এই সময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক কিছু বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখের মতো। দেশজুড়ে বিস্তৃত সাড়ে তিন হাজারের মতো আইএসপি এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বহু জাতি তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং
রাষ্ট্রীয় একটি অপারেটর মোবাইল সেবা দিচ্ছে। দেশের প্রাচীনতম অপারেটর গ্রামীণফোনের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সক্রিয় ডেটা ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি ৯৩ লাখ। যা চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কমে হয় ৪ কোটি ৮০ লাখ। গ্রামীণফোনের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের গ্রাহকেরা ব্যয় কমিয়েছেন গড়ে ১৩ টাকা। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রাহকের মাসিক ব্যয় ছিল গড়ে ১৬১ টাকা। যা ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে হয়েছে ১৪৮ টাকা। রবির গ্রাহক প্রতি রাজস্ব ১৪৭ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। রবির আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ফোরজি ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৬৩ লাখ, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৩ কোটি ৭৬ লাখ। অপর অপারেটর বাংলালিংকের ২০২৩ অর্থবছরে বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছিল।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস