বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রির তালিকায় শীর্ষে থাকা অ্যাপলের আইফোন অনেকের কাছেই শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নয়, বরং স্ট্যাটাস সিম্বলও বটে। তবে এই বিপুল জনপ্রিয়তার সুযোগ নিচ্ছে একদল প্রতারক চক্র, যারা হুবহু আসল আইফোনের মতো দেখতে নকল বা প্রতারণামূলক কপি বাজারে ছড়াচ্ছে।
যদিও অফিসিয়াল অ্যাপল স্টোর বা অনুমোদিত বিক্রেতা থেকে কিনলে সাধারণত কোনো চিন্তা নেই, কিন্তু অননুমোদিত বাজার, অজানা দোকান বা মেরামত করাতে দিলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন—তাদের আসল ফোন বদলে দেওয়া হয়েছে নকল ফোনে। তাই নতুন, রিফারবিশড বা পুরোনো—যে আইফোনই কিনুন না কেন, কেনার আগে তা আসল নাকি নকল, তা যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্যাকেজিং, সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই যাচাইয়ের পদ্ধতি আইফোন আসল কিনা তা নিশ্চিত করার প্রথম ধাপ হলো প্যাকেজিং ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী পরীক্ষা করা। অ্যাপল তার প্যাকেজিংয়ের নিখুঁত মানের জন্য পরিচিত; আসল আইফোনের বাক্স মজবুত, টেক্সট ও ছবি নিখুঁতভাবে মুদ্রিত হয় এবং চার্জিং কেবলের মতো আনুষঙ্গিক সামগ্রীগুলো অ্যাপলের স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে মেলে। যদি বাক্সে নড়বড়ে গঠন, ফিকে প্রিন্ট বা মানহীন এক্সেসরিজ লক্ষ্য করেন, তবে সতর্ক হতে হবে।
এরপরের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই যাচাই করা। প্রতিটি আসল আইফোনের একটি স্বতন্ত্র সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই থাকে, যা দেখতে প্রথমে সেটিংস > জেনারেল > অ্যাবাউট-এ যেতে হবে। সেখানে পাওয়া সিরিয়াল নম্বরটি অ্যাপলের ‘চেক কভারেজ’ পেজে বসিয়ে যাচাই করলে মডেল, ওয়ারেন্টি ও অন্যান্য তথ্য দেখা যাবে। এছাড়াও, *#০৬# ডায়াল করে আইএমইআই নম্বর দেখা যেতে পারে এবং এটি বাক্স, সিম ট্রে ও ফোনের সেটিংস-এ প্রদর্শিত নম্বরের সঙ্গে এক হওয়া জরুরি। গঠন, মান ও সফটওয়্যার পরীক্ষার মাধ্যমে পার্থক্য নির্ণয় ফোনের গঠন ও মান হাতে নিলে তার পার্থক্য ধরা পড়ে। আসল আইফোন হাতে নিলে এর ওজন, ফিনিশিং ও বোতামের ক্লিকেই মান ও কাঠিন্য বোঝা যায়। অ্যাপলের লোগোটি সোজা, চকচকে ও নিখুঁতভাবে বসানো থাকে। স্ক্রিন, ফ্রেম ও পোর্টগুলো মসৃণ হয় এবং কোনো ঢিলাভাব থাকে না। অন্যদিকে, নকল আইফোনগুলোতে সাধারণত রাফ এজ, বাঁকা লোগো বা বোতাম ঢিলা দেখা যেতে পারে। প্রয়োজনে ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে এই পার্থক্যগুলো যাচাই করতে হবে। এছাড়া, সফটওয়্যার পরীক্ষা করে আসল-নকল নির্ণয় করা যায়; আসল আইফোনে চলে শুধুমাত্র আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, কিন্তু অনেক নকল আইফোনে ভিতরে থাকে অ্যান্ড্রয়েড, যা বাহ্যিকভাবে আইওএস-এর মতো দেখানোর চেষ্টা করে। যাচাইয়ের জন্য সেটিংস > জেনারেল > সফটওয়্যার আপডেট-এ গিয়ে সর্বশেষ আইওএস সংস্করণ দেখালে ফোনটি আসল বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, 'হেই সিরি (Hey Siri)' বলে পরীক্ষা করা যেতে পারে; যদি সিরি সাড়া না দেয়, সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চূড়ান্ত যাচাইয়ের জন্য অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার যদি কোনো কিছুতেই নিশ্চিত হতে না পারেন, তবে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো অ্যাপলের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে যাওয়া। সেখানে বিশেষজ্ঞরা ফোনটির সত্যতা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে দেবেন এটি আসল নাকি প্রতারণামূলক কপি। আইফোন প্রযুক্তি, পারফরম্যান্স ও আস্থার প্রতীক হলেও, নকল বাজারে সেই আস্থার সুযোগ নিচ্ছে কিছু প্রতারক চক্র। তাই কেনাকাটার আগে একবার যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক—আপনার ফোনটি সত্যিই অ্যাপলের তৈরি কিনা। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
প্যাকেজিং, সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই যাচাইয়ের পদ্ধতি আইফোন আসল কিনা তা নিশ্চিত করার প্রথম ধাপ হলো প্যাকেজিং ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী পরীক্ষা করা। অ্যাপল তার প্যাকেজিংয়ের নিখুঁত মানের জন্য পরিচিত; আসল আইফোনের বাক্স মজবুত, টেক্সট ও ছবি নিখুঁতভাবে মুদ্রিত হয় এবং চার্জিং কেবলের মতো আনুষঙ্গিক সামগ্রীগুলো অ্যাপলের স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে মেলে। যদি বাক্সে নড়বড়ে গঠন, ফিকে প্রিন্ট বা মানহীন এক্সেসরিজ লক্ষ্য করেন, তবে সতর্ক হতে হবে।
এরপরের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই যাচাই করা। প্রতিটি আসল আইফোনের একটি স্বতন্ত্র সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই থাকে, যা দেখতে প্রথমে সেটিংস > জেনারেল > অ্যাবাউট-এ যেতে হবে। সেখানে পাওয়া সিরিয়াল নম্বরটি অ্যাপলের ‘চেক কভারেজ’ পেজে বসিয়ে যাচাই করলে মডেল, ওয়ারেন্টি ও অন্যান্য তথ্য দেখা যাবে। এছাড়াও, *#০৬# ডায়াল করে আইএমইআই নম্বর দেখা যেতে পারে এবং এটি বাক্স, সিম ট্রে ও ফোনের সেটিংস-এ প্রদর্শিত নম্বরের সঙ্গে এক হওয়া জরুরি। গঠন, মান ও সফটওয়্যার পরীক্ষার মাধ্যমে পার্থক্য নির্ণয় ফোনের গঠন ও মান হাতে নিলে তার পার্থক্য ধরা পড়ে। আসল আইফোন হাতে নিলে এর ওজন, ফিনিশিং ও বোতামের ক্লিকেই মান ও কাঠিন্য বোঝা যায়। অ্যাপলের লোগোটি সোজা, চকচকে ও নিখুঁতভাবে বসানো থাকে। স্ক্রিন, ফ্রেম ও পোর্টগুলো মসৃণ হয় এবং কোনো ঢিলাভাব থাকে না। অন্যদিকে, নকল আইফোনগুলোতে সাধারণত রাফ এজ, বাঁকা লোগো বা বোতাম ঢিলা দেখা যেতে পারে। প্রয়োজনে ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে এই পার্থক্যগুলো যাচাই করতে হবে। এছাড়া, সফটওয়্যার পরীক্ষা করে আসল-নকল নির্ণয় করা যায়; আসল আইফোনে চলে শুধুমাত্র আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, কিন্তু অনেক নকল আইফোনে ভিতরে থাকে অ্যান্ড্রয়েড, যা বাহ্যিকভাবে আইওএস-এর মতো দেখানোর চেষ্টা করে। যাচাইয়ের জন্য সেটিংস > জেনারেল > সফটওয়্যার আপডেট-এ গিয়ে সর্বশেষ আইওএস সংস্করণ দেখালে ফোনটি আসল বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, 'হেই সিরি (Hey Siri)' বলে পরীক্ষা করা যেতে পারে; যদি সিরি সাড়া না দেয়, সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চূড়ান্ত যাচাইয়ের জন্য অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার যদি কোনো কিছুতেই নিশ্চিত হতে না পারেন, তবে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো অ্যাপলের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে যাওয়া। সেখানে বিশেষজ্ঞরা ফোনটির সত্যতা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে দেবেন এটি আসল নাকি প্রতারণামূলক কপি। আইফোন প্রযুক্তি, পারফরম্যান্স ও আস্থার প্রতীক হলেও, নকল বাজারে সেই আস্থার সুযোগ নিচ্ছে কিছু প্রতারক চক্র। তাই কেনাকাটার আগে একবার যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক—আপনার ফোনটি সত্যিই অ্যাপলের তৈরি কিনা। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস