দুইশ কোটি ব্যবহারকারীকে নিজেদের বিশ্বস্ত সংবাদসূত্রের র্যাংকিং করার সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। আগামী সপ্তাহ থেকে এই র্যাংকিং শুরু হবে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এই ঘোষণা দেন। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া খবরের প্রচার ঠেকানোর সর্বশেষ কৌশল হিসেবে উদ্যোগটি নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
জাকারবার্গ লিখেছেন, বিশ্বে এখন অনেক বেশি সেনসেশনালিজম, ভুল তথ্য ও মেরুকরণ চলছে। সামাজিক মাধ্যমের কারণে অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে তথ্য দ্রুত ছড়ায়। আমরা যদি নির্দিষ্টভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা না করি তাহলে শেষ পর্যন্ত সেগুলোকে বাড়তেই সহযোগিতা করব। জাকারবার্গ জানান, ফেসবুকের এই ‘বিশ্বস্ত মাধ্যমে’র র্যাংকিং শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। এই র্যাংকিংয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভালো মানের সংবাদ’ নিশ্চিত করা।
ব্যবহারকারীদের র্যাংকিং করতে দেওয়ার বিষয়ে জাকারবার্গ লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত আমরাই নিতে পারতাম। কিন্তু এই বিষয়ে আমরা স্বচ্ছন্দ নই। আমরা কোম্পানির বাইরের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা বিবেচনা করেছিলাম। এতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যেত কিন্তু সমস্যার বস্তুনিষ্ঠ সমাধান হতো না।
নতুন এই র্যাংকিং পাঠক ও দর্শকের বিশ্বস্ত সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করবে। জাকারবার্গ লিখেছেন, এই আপডেটের কারণে ফেসবুকে দেখতে পাওয়া সংবাদের পরিমাণ কমবে না। তবে পাঠক বিশ্বস্ত মাধ্যমের যেসব খবরে চোখ রাখেন তার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটবে।
এর আগে ১২ জানুয়ারি নিউজ ফিডে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেয় ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, এখন থেকে সংবাদ, সেলিব্রেটি ও পেজের চেয়ে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের পোস্টকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা ব্যবহারকারীর ওয়ালে দেখানো হবে।
এ বিষয়ে জাকারবার্গ ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, আমরা যখন এটা চালু করব আপনারা নিউজ ফিডে বাণিজ্যিক, পণ্য ও সংবাদমাধ্যমের পোস্ট অনেক কম দেখতে পাবেন। এছাড়া যেসব পাবলিক কনটেন্ট আপনারা পাবেন তাও হবে একই মানের। তা যেন মানুষের মধ্যে অর্থবহ মিথষ্ক্রিয়া সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের পর ভুয়া খবর প্রচারের জন্য ফেসবুক, গুগল ও টুইটারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুক এই সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। এরপরও ভুয়া খবরের প্রচার রোধ করতে না পারায় ফেসবুক এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইসিটি/এলআরটি
জাকারবার্গ লিখেছেন, বিশ্বে এখন অনেক বেশি সেনসেশনালিজম, ভুল তথ্য ও মেরুকরণ চলছে। সামাজিক মাধ্যমের কারণে অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে তথ্য দ্রুত ছড়ায়। আমরা যদি নির্দিষ্টভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা না করি তাহলে শেষ পর্যন্ত সেগুলোকে বাড়তেই সহযোগিতা করব। জাকারবার্গ জানান, ফেসবুকের এই ‘বিশ্বস্ত মাধ্যমে’র র্যাংকিং শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। এই র্যাংকিংয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভালো মানের সংবাদ’ নিশ্চিত করা।
ব্যবহারকারীদের র্যাংকিং করতে দেওয়ার বিষয়ে জাকারবার্গ লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত আমরাই নিতে পারতাম। কিন্তু এই বিষয়ে আমরা স্বচ্ছন্দ নই। আমরা কোম্পানির বাইরের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা বিবেচনা করেছিলাম। এতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যেত কিন্তু সমস্যার বস্তুনিষ্ঠ সমাধান হতো না।
নতুন এই র্যাংকিং পাঠক ও দর্শকের বিশ্বস্ত সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করবে। জাকারবার্গ লিখেছেন, এই আপডেটের কারণে ফেসবুকে দেখতে পাওয়া সংবাদের পরিমাণ কমবে না। তবে পাঠক বিশ্বস্ত মাধ্যমের যেসব খবরে চোখ রাখেন তার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটবে।
এর আগে ১২ জানুয়ারি নিউজ ফিডে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেয় ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, এখন থেকে সংবাদ, সেলিব্রেটি ও পেজের চেয়ে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের পোস্টকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা ব্যবহারকারীর ওয়ালে দেখানো হবে।
এ বিষয়ে জাকারবার্গ ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, আমরা যখন এটা চালু করব আপনারা নিউজ ফিডে বাণিজ্যিক, পণ্য ও সংবাদমাধ্যমের পোস্ট অনেক কম দেখতে পাবেন। এছাড়া যেসব পাবলিক কনটেন্ট আপনারা পাবেন তাও হবে একই মানের। তা যেন মানুষের মধ্যে অর্থবহ মিথষ্ক্রিয়া সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের পর ভুয়া খবর প্রচারের জন্য ফেসবুক, গুগল ও টুইটারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুক এই সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। এরপরও ভুয়া খবরের প্রচার রোধ করতে না পারায় ফেসবুক এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইসিটি/এলআরটি