রাত নামে আলো নাই ঘরে, রাত্রি সরে আঁধার সরে না,
চুলা জ্বলে না, ক্ষুধা থামে না, জীবন চলে কষ্ট থামে না।
শিশুটির জন্মের পরে আকাশের নক্ষত্র এলো ঘরে,
আলোর মিছিল বয়ে এই শিশু হাঁটি হাঁটি পা পা করে।
কোন আরশের আশী লয়ে আশার স্বপন ঋতু ধরে?
কষ্টবহা জীবনতরী আলোর খেলা তাদের মন জুড়ে।
বছর যায় বছর আসে দেশ ও রাষ্ট্রের ফেরে দিন;
উড়ে পতাকা জন্মের তরে মুক্ত দেশ মুক্ত জমিন।
তা বুঝে কিংবা নাই বা বুঝে কাটে গরীবের রাত্রিদিন;
মজুরি-বেচা জীবিকা করে জানে দেশে তারা ভূমিহীন।
রংপুরে ভুমিহীন মায়ের কোল জুড়ে স্বপ্ন খেলা করে;
আলোর ঠিকানায় দিন দিন এ স্বপ্ন পাখি হয়ে উড়ে। আলো করা স্বপ্ন শিশু বড় হয়ে নগরের পথ ধরে;
পাঠশালার পাঠ শেষ করে দিনে দিনে ঘরে ফিরে;
দুখিনী দেশ কী হল আজ চমকে উঠে ভরদুপুরে?
বুক তার মানচিত্র যেন ছেলে সে আলোর মিছিল করে।
সেই বুকে প্রজন্ম ঠাঁই লয় সময় তার কথা কয়;
আলো ফেরি করা সে এক বীর বুক চিতে দাঁড়িয়ে রয়;
এটা তার বুক নয় এ আমাদের রক্তের কেনা ভূমি;
খেই হারা সময়ের পতাকা উড়ানো একাত্তরের রুমী। ঊনসত্তরের আসাদ সে বুলেট মুখে বুক চিতিয়ে;
মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেন ইতিহাসের ট্রফি জিতিয়ে;
সময়ের মানচিত্র বুক তার রক্তরাঙা জানে অন্তর্যামী;
আবু সাঈদের বুক আজ আমাদের প্রাণের পিতৃভূমি। ছেলেহারা বাপ মা তার পেল দেশের সমান জমিন;
ধরে হাল, কে ফেরায় দিন, জনকের বেটি বলে দিন;
বুঝো বুলেটে ঝাঁজরা বুক তার ইতিহাস বন্ধক ঋণ;
বীরের জননী মনোয়ারা বেগমের কাব্য জেনে নিন: হামরা কেঙ্কা করি চলমো "বাড়িতে মানুষের ভিড়।
মাটি চাপড়ে আহাজারি তার
মোর বাবাটাক পুলিশ গুলি করিয়া মারল ক্যান?
ও তো কাউকে মারতে যায় নাই।
চাকরি চাওয়াটা কি অপরাধ?
অই পুলিশ, তুই মোকে গুলি করিয়া মারলু না ক্যান?
বাবাটাক না মারিয়া পঙ্গু করি থুইলেও তো দেখপের পানু হয়।’ ’সারাটা জেবন কষ্ট করনো।
মজুর করিয়া একটা ছইলোক পড়াইনো।
আশায় আছনু,
বাবাটা চাকরি করলে শ্যাষ বয়সোত শান্তিমতো খামো।
আশা-ভরসা সউগ শ্যাষ হয়া গেল।
হামরা কেঙ্কা করি চলমো?" সুত্রঃ ইত্তেফাক নিউজ এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
চুলা জ্বলে না, ক্ষুধা থামে না, জীবন চলে কষ্ট থামে না।
শিশুটির জন্মের পরে আকাশের নক্ষত্র এলো ঘরে,
আলোর মিছিল বয়ে এই শিশু হাঁটি হাঁটি পা পা করে।
কোন আরশের আশী লয়ে আশার স্বপন ঋতু ধরে?
কষ্টবহা জীবনতরী আলোর খেলা তাদের মন জুড়ে।
বছর যায় বছর আসে দেশ ও রাষ্ট্রের ফেরে দিন;
উড়ে পতাকা জন্মের তরে মুক্ত দেশ মুক্ত জমিন।
তা বুঝে কিংবা নাই বা বুঝে কাটে গরীবের রাত্রিদিন;
মজুরি-বেচা জীবিকা করে জানে দেশে তারা ভূমিহীন।
রংপুরে ভুমিহীন মায়ের কোল জুড়ে স্বপ্ন খেলা করে;
আলোর ঠিকানায় দিন দিন এ স্বপ্ন পাখি হয়ে উড়ে। আলো করা স্বপ্ন শিশু বড় হয়ে নগরের পথ ধরে;
পাঠশালার পাঠ শেষ করে দিনে দিনে ঘরে ফিরে;
দুখিনী দেশ কী হল আজ চমকে উঠে ভরদুপুরে?
বুক তার মানচিত্র যেন ছেলে সে আলোর মিছিল করে।
সেই বুকে প্রজন্ম ঠাঁই লয় সময় তার কথা কয়;
আলো ফেরি করা সে এক বীর বুক চিতে দাঁড়িয়ে রয়;
এটা তার বুক নয় এ আমাদের রক্তের কেনা ভূমি;
খেই হারা সময়ের পতাকা উড়ানো একাত্তরের রুমী। ঊনসত্তরের আসাদ সে বুলেট মুখে বুক চিতিয়ে;
মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেন ইতিহাসের ট্রফি জিতিয়ে;
সময়ের মানচিত্র বুক তার রক্তরাঙা জানে অন্তর্যামী;
আবু সাঈদের বুক আজ আমাদের প্রাণের পিতৃভূমি। ছেলেহারা বাপ মা তার পেল দেশের সমান জমিন;
ধরে হাল, কে ফেরায় দিন, জনকের বেটি বলে দিন;
বুঝো বুলেটে ঝাঁজরা বুক তার ইতিহাস বন্ধক ঋণ;
বীরের জননী মনোয়ারা বেগমের কাব্য জেনে নিন: হামরা কেঙ্কা করি চলমো "বাড়িতে মানুষের ভিড়।
মাটি চাপড়ে আহাজারি তার
মোর বাবাটাক পুলিশ গুলি করিয়া মারল ক্যান?
ও তো কাউকে মারতে যায় নাই।
চাকরি চাওয়াটা কি অপরাধ?
অই পুলিশ, তুই মোকে গুলি করিয়া মারলু না ক্যান?
বাবাটাক না মারিয়া পঙ্গু করি থুইলেও তো দেখপের পানু হয়।’ ’সারাটা জেবন কষ্ট করনো।
মজুর করিয়া একটা ছইলোক পড়াইনো।
আশায় আছনু,
বাবাটা চাকরি করলে শ্যাষ বয়সোত শান্তিমতো খামো।
আশা-ভরসা সউগ শ্যাষ হয়া গেল।
হামরা কেঙ্কা করি চলমো?" সুত্রঃ ইত্তেফাক নিউজ এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস