আমেরিকা

সাইবার হামলা: জ্বালানি সংকটের কবলে বেশ কিছু রাজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু রাজ্যে গ্যাসোলিনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার (১১ মে) থেকে গ্যাসোলিনের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে গ্যাসোলিনের দাম বৃদ্ধির শঙ্কাও রয়েছে। কলোনিয়াল পাইপলাইন জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শেষে জ্বালানি সরবরাহ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা সম্ভব হতে পারে৷ এর আগে গত শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান কলোনিয়ান পাইপলাইন সাইবার হামলার শিকার হয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ন বন্ধ রাখে। গতকাল এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জরুরি আইন জারি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এই আইনের ফলে, জ্বালানি বহনকারী গাড়ির চালকেরা স্থলপথে আরো বেশি সময় ও সহজে জ্বালানি বহন করতে পারবে। এদিকে, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তদন্ত কর্মকর্তারা এই হামলার পিছনে রাশিয়া অথবা ইস্টার্ন ইউরোপের হ্যাকারদের দায়ী করেন। ডার্কসাইড নামের একটি হ্যাকার গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। এদিকে, এফবিআই এর অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, এই সাইবার হামলার সাথে রাশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও যারা এই হামলা চালিয়েছে তারা রাশিয়ান হ্যাকার। কিছু রাজ্যে গ্যাসোলিনের দাম তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। কলোনিয়ান পাইপলাইন যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গালফ কোস্ট থেকে সাউদার্ন ও ইস্টার্ন অংশে জ্বালানি সরবরাহ করে থাকে৷ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল গ্যাসোলিন, ডিজেল, জেট ফুয়েল এবং অন্যান্য পরিশোধক জ্বালানি ৫ হাজার ৫০০ মাইল লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে। ইস্ট কোস্টের ৪৫ শতাংশ জ্বালানির যোগানদাতা এই প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার সাইবার হামলার বিষয়টি নজরে আসতেই সম্ভাব্য হুমকির কারণে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে৷ এই হামলায় প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি বিভাগের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ও সাময়িকভাবে কার্যক্রমটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম