মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশে গত শুক্র ও শনিবার বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনই হামলা থামছে না বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এমনকি ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার রাতে ইয়েমেনের ১৩টি জায়গায় ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আগের দিন ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এবং বাহিনীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হন।
গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহতের ঘটনার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ নামের ইরাকের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলার বিষয়ে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সকালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে সুলিভান বলেন, ‘এটাই শেষ নয়। একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানো অব্যাহত রাখতে আমরা অতিরিক্ত হামলা এবং অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে চাই। আর সেটা হলো, আমাদের বাহিনী আক্রান্ত হলে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।’ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোর নতুন করে হামলা চালানোর সক্ষমতা কমানোর ক্ষেত্রে এসব হামলা ‘ভালো প্রভাব’ রেখেছে।
ইরানে সরাসরি হামলার বিষয়টি তিনি নাকচ করছেন কি না— এমন প্রশ্নে সুলিভান বলেন, ‘এখানে টেলিভিশন স্টেশনে বসে আমরা কী করছি এবং কী নাকচ করছি, সে সম্পর্কে কথা বলা আমার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জবাব দেওয়ার পথে হাঁটে, তারা আমাদের কাছ থেকে দ্রুত এবং কড়া জবাব পাবে।’
এদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কৌশলগত ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার ফলে এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা বাড়ানো ছাড়া কোনো কিছুই অর্জিত হবে না।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস