যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টাকারী তরুণ টমাস ক্রুকস একাই হামলা চালিয়েছিলেন। এর সঙ্গে বিদেশি সংশ্লিষ্টতা নেই।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পেছনে ক্রুকসের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা এখনো অজানা। তাঁরা বলছে, টমাস ক্রুকসের ‘মিশ্র ধরনের মতাদর্শ’ ছিল।
ট্রাম্পকে গুলি করার আগে ক্রুকস অনলাইনে যেসব তথ্য খোঁজার চেষ্টা করেছেন, তা প্রকাশ করেছে এফবিআই। তিনি যে বন্দুকটি ব্যবহার করেছেন এবং তাঁর গাড়িতে যেসব বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে, তার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
শুধু ট্রাম্পই নন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপরও নজর রাখছিলেন তিনি। কারণ, বাইডেন তখন পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলন কোথায় হয়, সে তথ্যও অনলাইনে খোঁজ করেছেন তিনি।
গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ার বাটলারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন ক্রুকস। এ সময় ট্রাম্পের কানে গুলি লাগে। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং দুজন গুরুতর আহত হন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের প্রচার সমাবেশ শুরু হয়। এফবিআইয়ের পিটসবার্গ কার্যালয়ের প্রধান কেভিন রোজেক বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশগুলো কখন কোথায় হবে, তা অনলাইনে খোঁজ রাখছিলেন ক্রুকস।
একই সময়ে ২০ বছর বয়সী ক্রুকস জানার চেষ্টা করেছিলেন, জন এফ কেনেডিকে হত্যার আগে হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ড তাঁর (কেনেডি) কাছ থেকে কতটা দূরত্বে ছিলেন।১৯৬৩ সালে হত্যার শিকার হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সমাবেশস্থল ‘বাটলার ফার্ম শো’তে ট্রাম্প কোথা থেকে কথা বলবেন, সে তথ্যও অনলাইনে খুঁজেছিলেন ক্রুকস। তাঁর তথ্য অনুসন্ধানের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, কীভাবে বোমা তৈরি করতে হবে এবং বোমা তৈরিতে কী কী উপকরণ লাগে, সেসব তথ্য খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন এ তরুণ।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড