৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পরপরই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অভিবাসীদের কপালে।
অভিবাসীদের নতুন নাগরিকত্ব লাভ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া তাদের সন্তানদের ‘ন্যাচারালাইজড সিটিজেনশিপ’ প্রদানের ক্ষেত্রে আরোপ হতে পারে নতুন বিধি।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই এই অভিবাসন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যা এখন নন-আমেরিকানদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া ট্রাম্প তার প্রচারণায় আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন করার কথাও বলেছিলেন।
আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা শিশুর নাগরিকত্ব লাভের জন্য শিশুর বাবা কিংবা মা দুজনের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার বিধিও তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
মূলত অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় এই উদ্বিগ্নতার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার বিতর্কিত ‘জিরো টলারেন্স' নীতি পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনা আছে বলে মন্তব্য করেন। এই জিরো টলারেন্স নীতির মাধ্যমে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে হাজার হাজার অভিবাসী শিশুকে তাদের বাবা-মা থেকে আলাদা করে ফেলে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে স্প্যানিশ ভাষার সংবাদ মাধ্যম ইউনিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীদের আগমন বন্ধ করে দিয়েছে। পারিবারিক বিচ্ছেদ নীতি পুনর্বহালের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও দ্বিতীয় মেয়াদে প্রশাসনে এটি যোগ হতে পারে’।
বাইডেন প্রশাসন গত বছর এই নীতির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলির সাথে একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের অস্থায়ী আইনি মর্যাদা এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে আট বছরের জন্য অনুরূপ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসেই কর্মসংস্থান বা অন্যান্য কাজের জন্য এক মিলিয়ন মানুষ আমেরিকায় প্রবেশ করেছে।
এছাড়া অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি তরুণ অভিবাসী আছে যারা পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় গিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে প্রায় পৌনে দুই মিলিয়ন শিশু ন্যাচারালাইজড সিটিজেনশিপের জন্য অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যাদের ২১ বছর বয়স পর্যন্ত দেখশোনার দায়িত্ব নিতে হবে দেশটির।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম