নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (USCIS)-এর পরিচালক জোসেফ এডলো। তিনি বলেছেন, বর্তমান নাগরিকত্ব পরীক্ষা খুবই সহজ এবং মুখস্থ করে পাশ করা যায়। তাই ট্রাম্প প্রশাসন আবার ফিরিয়ে আনতে চায় ২০২০ সালের সংস্করণ—যা অনেক কঠোর ছিল।
কী এই নাগরিকত্ব পরীক্ষা?
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে হলে আবেদনকারীদের একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যাকে বলে ন্যাচারালাইজেশন প্রক্রিয়া। প্রথমে সাবেক N-400 ফর্ম জমা দিতে হয়। এরপর আবেদনকারীদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, নির্দিষ্ট সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসসহ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। সবশেষে একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হয়, যেখানে দুটি পরীক্ষা নেওয়া হয়—একটি ইংরেজি এবং অন্যটি সিভিকস টেস্ট।
USCIS ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সিভিকস টেস্টে ১০০টির বেশি প্রশ্ন থাকে। কর্মকর্তারা ১০টি প্রশ্ন করেন, যার মধ্যে কমপক্ষে ৬টি সঠিক উত্তর দিতে হয়। তবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালে এই নিয়ম পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। তখন ১২৮টি প্রশ্ন থেকে ২০টি জিজ্ঞেস করা হতো, এবং কমপক্ষে ১২টির সঠিক উত্তর দিতে হতো। এবার সেই কড়াকড়ি নিয়ম আবার ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
"আইনের চেতনার সঙ্গে মিল নেই"
পরিচালক এডলো মনে করেন, বর্তমান সহজ নিয়মটি আইনের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে আবেদনকারীর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে জ্ঞান, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক কাঠামো বোঝার সক্ষমতা যাচাই হওয়া উচিত—যা সহজ প্রশ্নে বোঝা যায় না।
এর মাঝে পরিবর্তন আসছে H-1B ভিসা নীতিতেও
এই ঘটনার পাশাপাশি আরেকটি বড় পরিবর্তন আনার কথা বলেছে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (DHS)। তারা বলছে, এখন থেকে H-1B ভিসা শুধু উচ্চদক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবীদের জন্যই বরাদ্দ থাকবে, আর এন্ট্রি-লেভেল কাজের জন্য এই ভিসা আর পাওয়া যাবে না। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের স্নাতকরা চাকরির বাজারে বেশি সুযোগ পাবে, এবং বিদেশিদের কম মজুরিতে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ কমে যাবে।
তবে এই পরিবর্তন বিদেশি কর্মীদের জন্য "আমেরিকান ড্রিম"-এ বড় ধাক্কা হতে পারে। অনেকেই এই ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কর্মজীবনের সুযোগ পেতেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম