বাংলাদেশ

ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আজ সোমবার দুপুরে মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চেয়াম্যান ড. কামাল হোসেনের সাথেও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে চা খাওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনস্থলে উপস্থিত আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও মোহাম্মদ শাহজাহান এবং জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। পাশাপাশি গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম কামাল ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাংবাদিক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনস্থলে বিএনপি, গণফোরামসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে যে, আজকের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার কথা বলবেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

এদিকে বঙ্গবীরের সাংবাদিক সম্মেলন উপলক্ষে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। ইতোমধ্যেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছে কি করছেন বঙ্গবীর? ভবিষ্যতেও বা কি করতে যাচ্ছেন? তবে একটা নিশ্চিত খবর ছিল তিনি গত শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনায় তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থান জানাবেন। এবং ড. কামাল হোসেনের হাত ধরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেই যোগ দিচ্ছেন।
ঐদিন অধীর আগ্রহে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মী জনগণ অধীর আগ্রহভরে অপেক্ষা করছিলেন। প্রায় পৌনে একঘন্টা বক্তব্যে একপর্যায়ে বঙ্গবীর জানালেন তিনি ঐদিন যোগ দিচ্ছেন না- চান আরও একদিন সময়।
গত ৩১ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কি হবে তা তিনি জানাতে সকলকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।

তবে গত শনিবারের আলোচনা সভায় বিশিষ্ট আইনজীবি ড. কামাল হোসেন বঙ্গবীরের শুধু একাত্তরের রনাঙ্গণের বীরত্ব তুলে ধরেননি, তিনি সুস্পস্টভাবে ৭৫’ পনের আগস্টের পরে তার (বঙ্গবীরের) সশস্ত্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের প্রশংসা করেন।

এটা বঙ্গবীরসহ তার দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের প্রাণের সঞ্চারও করে। বিষয়টি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মী এবং ৭৫’ এ বঙ্গবীরের সহযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করে। জানা গেছে, এর আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবীর ৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মিলনমেলার আয়োজন করেছিলেন।

স্মৃতিচারণমুলক সে অনুষ্ঠানে তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ালীগের অন্তত কয়েকজন শীর্ষ নেতার উপস্থিতি আশা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি বলে তিনি মুনঃক্ষুন্নও হয়েছিলেন তিনি। সেদিক থেকে এপ্রসঙ্গে বিশিষ্ট এই আইনজীবি ও জাতয়ি ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড.কামাল হোসেনের বক্তব্য কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ৭৫’ পনের আগস্টের পরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং স্বয়ং বঙ্গবীরের জন্য অনেক সম্মানজনক নিয়ে গেছে। আর এজন্য আজকে দলের যে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে এর প্রভাব পড়বে।

এদিকে গতকাল রাতে দলের পক্ষ থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগেরন যুগ্ম-সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
এতে জানান হয় আজ পূর্বঘোষণা অনুসারে আগামী ৫ই নভেম্বর সোমবার সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসভায় জাতীয় ঐক্যফ্্রন্টে যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে সভাশেষে বেলা সাড়ে ১২টায় প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে বর্ধিতসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি