বাংলা নববর্ষের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়েরসোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে এ ঘটনা ঘটে।নিপীড়নকারীদের ঠেকাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর হাতভেঙেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ওবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে এই ঘটনা জানানো হলেওতাঁরা যথাসময়ে ব্যবস্থা নেননি।ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীলছাত্রজোট। তারা অভিযোগ করেছে, পুলিশ ওবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণেইযেকোনো উৎসবের দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তারাক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দেখে এই ঘটনার সঙ্গেজড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলকব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটননন্দী প্রথম আলোকে বলেন, বাংলা নতুন বছরউপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষেরপ্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকেশাহবাগ থেকে টিএসসি আসার পথে তাঁরা কয়েকজনদেখেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ৩০-৩৫জনের একদল যুবক বেশ কয়েকজন নারীকে যৌনহয়রানি করছে। তারা কারও কারও শাড়ি ধরে টানদিচ্ছিল। কয়েকজনকে তারা বিবস্ত্রও করে ফেলে। এসময় সেখানে বাধা দিতে গেলে ওই যুবকদের ধাক্কায়তিনি পড়ে যান এবং তাঁর হাত ভেঙে যায়।ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটন নন্দী বলেন, ‘এ দৃশ্যবর্ণনা করা যায় না। আমি আমার পাঞ্জাবি খুলে একনারীকে দিয়েছিলাম। আরেকটি মেয়ে অজ্ঞান হয়েপড়েছিল। ওই যুবকেরা ভিড়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরেএই ঘটনা ঘটাচ্ছিল। আমরা পুলিশ ও প্রক্টরকেঘটনা জানালেও তারা কেউ যথাসময়ে আসেনি। ছাত্রইউনিয়নের ছেলেরা পরে প্রক্টরের কার্যালয়ে গিয়েদেখেন, তিনি কম্পিউটারে গেমস খেলছেন।’ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামহোসেন বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী গেটে যখন এই ঘটনাঘটছিল, তখন সেখানে মাত্র দুজন পুলিশ ছিল।টিএসসির ডাচ-বাংলা বুথের দিকে বেশ কয়েকজনপুলিশ ছিল। আমরা তাদের এগিয়ে আসতে বললেতারা তখন রাজি হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমরাদুজনকে ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ পরে তাদেরছেড়ে দিয়েছে বলে জানতে পারি।’গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনাব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় যেখানে খুন হন,তার পাশেই সোহরাওয়ার্দী গেটে এ ঘটনা ঘটে।বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র অভিযোগ করেছেন,সোহরাওয়ার্দী গেট এবং এর ভেতরে প্রায়ই এধরনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসেরবিভিন্ন জায়গায়ও প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্র নিয়মিতইনারীদের লাঞ্ছিত করে। এসব ব্যাপারে প্রশাসনেরব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়েরছাত্রদেরও এসব প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত।ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ঘটনাস্থলেক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ছিল বলে পুলিশ দাবিকরেছে। কাজেই সেগুলো দেখে যেন দ্রুতদুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়েরভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, ‘ছাত্রইউনিয়নের নেতারা আমাকে খবর দেওয়ার পরপরইআমি পুলিশকে সোহরাওয়ার্দী গেট বন্ধ করতে এবংএ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পরে পুলিশ সেখানেগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে বলেআমি জেনেছি। আমরা পুলিশকে বলেছি সিসি টিভিরফুটেজ দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।’বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশেরঅতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ)বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রথম আলোকেবলেন, পুলিশ এ ব্যাপারে বিধিমতো ব্যবস্থা নেবে।ক্যাম্পাসে মিছিল, সংবাদ সম্মেলন: যৌন নিপীড়নেরএই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং জড়িতদেরগ্রেপ্তারের দাবিতে আজ ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশকরেছে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল ছাত্র জোট।পরে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনেসংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনেরকেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি এমজিলানী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়েরটিএসসি ও মিলন চত্বরে পুলিশের অবস্থানেরকাছাকাছি জায়গায় এই ঘটনা ঘটে; যেখানে পুলিশকন্ট্রোল রুম ও সিসি ক্যামেরা ছিল। তারপরেওপুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।’জি এম জিলানী বলেন, বর্ষবরণের দিন মানুষজন যেননির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে কারণে তাঁরাপ্রক্টরের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্পাসে পয়লাবৈশাখের দিন সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ এবংফুটপাতে দোকান বসতে না দেওয়ার অনুরোধজানিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই অবাধেগাড়ি চলতে ও ফুটপাতে দোকানপাট বসতে দেওয়াহয়। এর ফলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ জনসাধারণেরচলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ভবিষ্যতে যেকোনোউৎসবের দিনে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেইব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়েরসোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে এ ঘটনা ঘটে।নিপীড়নকারীদের ঠেকাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর হাতভেঙেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ওবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে এই ঘটনা জানানো হলেওতাঁরা যথাসময়ে ব্যবস্থা নেননি।ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীলছাত্রজোট। তারা অভিযোগ করেছে, পুলিশ ওবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণেইযেকোনো উৎসবের দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তারাক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দেখে এই ঘটনার সঙ্গেজড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলকব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটননন্দী প্রথম আলোকে বলেন, বাংলা নতুন বছরউপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষেরপ্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকেশাহবাগ থেকে টিএসসি আসার পথে তাঁরা কয়েকজনদেখেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ৩০-৩৫জনের একদল যুবক বেশ কয়েকজন নারীকে যৌনহয়রানি করছে। তারা কারও কারও শাড়ি ধরে টানদিচ্ছিল। কয়েকজনকে তারা বিবস্ত্রও করে ফেলে। এসময় সেখানে বাধা দিতে গেলে ওই যুবকদের ধাক্কায়তিনি পড়ে যান এবং তাঁর হাত ভেঙে যায়।ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটন নন্দী বলেন, ‘এ দৃশ্যবর্ণনা করা যায় না। আমি আমার পাঞ্জাবি খুলে একনারীকে দিয়েছিলাম। আরেকটি মেয়ে অজ্ঞান হয়েপড়েছিল। ওই যুবকেরা ভিড়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরেএই ঘটনা ঘটাচ্ছিল। আমরা পুলিশ ও প্রক্টরকেঘটনা জানালেও তারা কেউ যথাসময়ে আসেনি। ছাত্রইউনিয়নের ছেলেরা পরে প্রক্টরের কার্যালয়ে গিয়েদেখেন, তিনি কম্পিউটারে গেমস খেলছেন।’ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামহোসেন বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী গেটে যখন এই ঘটনাঘটছিল, তখন সেখানে মাত্র দুজন পুলিশ ছিল।টিএসসির ডাচ-বাংলা বুথের দিকে বেশ কয়েকজনপুলিশ ছিল। আমরা তাদের এগিয়ে আসতে বললেতারা তখন রাজি হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমরাদুজনকে ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ পরে তাদেরছেড়ে দিয়েছে বলে জানতে পারি।’গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনাব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় যেখানে খুন হন,তার পাশেই সোহরাওয়ার্দী গেটে এ ঘটনা ঘটে।বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র অভিযোগ করেছেন,সোহরাওয়ার্দী গেট এবং এর ভেতরে প্রায়ই এধরনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসেরবিভিন্ন জায়গায়ও প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্র নিয়মিতইনারীদের লাঞ্ছিত করে। এসব ব্যাপারে প্রশাসনেরব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়েরছাত্রদেরও এসব প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত।ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ঘটনাস্থলেক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ছিল বলে পুলিশ দাবিকরেছে। কাজেই সেগুলো দেখে যেন দ্রুতদুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়েরভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, ‘ছাত্রইউনিয়নের নেতারা আমাকে খবর দেওয়ার পরপরইআমি পুলিশকে সোহরাওয়ার্দী গেট বন্ধ করতে এবংএ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পরে পুলিশ সেখানেগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে বলেআমি জেনেছি। আমরা পুলিশকে বলেছি সিসি টিভিরফুটেজ দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।’বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশেরঅতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ)বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রথম আলোকেবলেন, পুলিশ এ ব্যাপারে বিধিমতো ব্যবস্থা নেবে।ক্যাম্পাসে মিছিল, সংবাদ সম্মেলন: যৌন নিপীড়নেরএই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং জড়িতদেরগ্রেপ্তারের দাবিতে আজ ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশকরেছে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল ছাত্র জোট।পরে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনেসংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনেরকেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি এমজিলানী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়েরটিএসসি ও মিলন চত্বরে পুলিশের অবস্থানেরকাছাকাছি জায়গায় এই ঘটনা ঘটে; যেখানে পুলিশকন্ট্রোল রুম ও সিসি ক্যামেরা ছিল। তারপরেওপুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।’জি এম জিলানী বলেন, বর্ষবরণের দিন মানুষজন যেননির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে কারণে তাঁরাপ্রক্টরের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্পাসে পয়লাবৈশাখের দিন সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ এবংফুটপাতে দোকান বসতে না দেওয়ার অনুরোধজানিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই অবাধেগাড়ি চলতে ও ফুটপাতে দোকানপাট বসতে দেওয়াহয়। এর ফলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ জনসাধারণেরচলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ভবিষ্যতে যেকোনোউৎসবের দিনে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেইব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।