বাংলাদেশ

দুদকে সম্পদের হিসাব দিলেন মুসা বিন শমসের

আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব দাখিল

করেছেন। আজ রবিবার দুপুরে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে দুদক সচিব বরাবর সম্পদের হিসাব পেশ

করেন। দুদকের উচ্চপর্যায়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে সাত কর্মদিবসের মধ্যে

স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে মুসাকে গত মাসের ১৯ মে নোটিশ পাঠায় দুদক। এ নোটিশের

৪ দিন পর দুদকের কাছে তিনি আরও সাত কর্মদিবস সময় আবেদন করেন। গত ৫ মে কমিশনের

দৈনন্দিন সভার সিদ্ধান্তে মুসা বিন শমসেরের নামে সম্পদের নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছেন দুদক

চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। অনুমোদনের পর বনানীতে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠায়

দুদক।

সুইস ব্যাংকে ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থের অনুসন্ধানে গত বছর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়

দুদক। এ পরিমাণ অর্থের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সম্প্রতি তিনি আরো ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ

মোট ১২ বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জমা রয়েছে বলে দুদককে জানিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যা

৯৩ হাজার কোটি টাকার (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) সমপরিমাণ। এ অর্থ জব্দ অবস্থায় রয়েছে

জানিয়ে তিনি দুদককে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে তার কোনো অর্থই সুইস ব্যাংকে জমা হয়নি।

এসব অর্থ বিদেশে উপার্জিত। মুসার দেওয়া এসব তথ্যের পর আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থের

পরিমাণ ও উৎস জানতে সুইস ব্যাংকে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে দুদক।

এদিকে সর্বশেষ মুসা দুদককে সাভারে তার নামে ১২ শ বিঘা জমি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। মুসা

বিন শমসেরের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদিন

শিবলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ৪ নারী নিরাপত্তাকর্মীসহ ৪০

জনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বহর নিয়ে তিনি সেদিন রাজকীয় কায়দায় দুদকে প্রবেশ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সুইস ব্যাংকে জব্দকৃত অর্থ অবমুক্ত হলে এসব অর্থ

পদ্মা সেতু নির্মাণসহ মানবকল্যাণে ব্যয় করবেন।