বাংলাদেশ

'ঘুষ' অবৈধ নয়- অর্থমন্ত্রি

দুর্নীতি দূরের প্রধান অন্তরায় ঘুষ হলেও সেই ঘুষকে বৈধতা দিয়ে বসেছেন খোদ অর্থমন্ত্রী। তিনি ঘুষ গ্রহণ বা প্রদানকে অবৈধ বলে মনে করেন না। অর্থমন্ত্রী বলেন, "যেটা কোনো কাজের গতি আনে, আমি মনে করি সেটা অবৈধ নয়। উন্নত দেশগুলোতে এটাকে বৈধ করে দেওয়া হয়েছে, তবে ভিন্ন নামে।"মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম হলে এমন মন্তব্য করেন।
পোশাক শ্রমিকদের গৃহ নির্মাণে সহজ শর্তে ঋণ পেতে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন অর্থমন্ত্রী। তিনি ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করে বসেন। মন্ত্রী এসময় বলেন, রিকশায় চড়ে টাকা দেওয়াটা বৈধ এবং কারো কাজ দ্রুত করে দিলে উপহার নিলে সেটাকে অবৈধ বলা হয়। কিন্তু আমি মনে করি কাজ দ্রুত করায় যদি কেউ কাউকে উপহার হিসেবে কিছু দেয় তবে তা অবৈধ নয়। উন্নত দেশে এটার বৈধ্যতা দেওয়া হয়েছে ভিন্ন নামে। তারা এটার নাম দিয়েছে "স্পিড মানি"। অর্থাৎ যে টাকা কোনো কাজে গতি সঞ্চার করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমাদের দেশে ঋণ পরিশোধ না করার একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। যা ঋণ খেলাপী নামে পরিচিত। তবে আগের চেয়ে বর্তমানে আমাদের দেশে ঋণ খেলাপীর হার কমেছে। বর্তমানে এ হার ১০/১১ শতাংশ। আর তা আরো কমতে পারে। ঋণ খেলাপীর হার ৮ শতাংশ হলে ভালো হয়। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে ঋণ খেলাপী মানুষের সম্মানের জন্য হানিকর। মন্ত্রী বলেন, ৮০ দশকে ঋণ গ্রহীতারা আগে মনে করেন আমি এতো কষ্ট করে, টাকা পয়সা খরচ করে, জুতা ক্ষয় করে ঋণ পেয়েছি তা আবার পরিশোধ করতে হবে? তাই সে সময় ঋণ খেলাপীর পরিমাণ বেশি ছিল।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগে ঋণ পেতে অনেক টাকা খরচ করতে হত। আমাদের দেশে এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতেও অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। আমি ৪০ বছর আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। সে সময় আমাকেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। তবে এটাকে আমি অবৈধ বলতে রাজি না। কারণ যারা উপহারের বিনিময়ে দ্রুত একটা কাজ করে দেয় তারা এটার (কাজের) এজেন্ট।