একদিনের
সফরে এসে ফ্রান্স ও জার্মানীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারিধারায় দুই দেশের
যৌথ মিশন ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাস
উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশে
প্রথমবারের মতো ফ্রাঙ্কো-জার্মান
দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়েছে, যা
বিশ্বেও প্রথম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্স ও
জার্মানীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও
জোরদার করতে ঢাকায় এই ফ্রাঙ্কো-
জার্মান দূতাবাস স্থাপন করা হয়েছে।
ফ্রান্স ও জার্মানী দুই দেশ এই যৌথ
দূতাবাসকে তাদের ঐক্যের প্রতীক
হিসেবে দেখছে।গতকাল সোমবার
সকালে বিশেষ বিমানে ঢাকা এসে
পৌঁছান ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লুরেন্ট ফাবিয়াস ও জার্মান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার। এরপর
সফররত দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগপূর্ণ
আবহাওয়ার কারণে তাদের নির্ধারিত
পটুয়াখালী সফর স্থগিত করেন। তবে
তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মাহমুদ আলীর সঙ্গে সকালে সাভারে
বংশী নদী ভ্রমণে বের হন। দুপুরে
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তারা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলীর সাথে বৈঠক করেন এবং তাদের
সম্মানে দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
এরপর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন। এরপর বিকেলে দুইমন্ত্রী উপস্থিত
হন ‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান’ যৌথ দূতাবাস
ভবনের ‘টপিং অফ’ অনুষ্ঠানে। কোনো
ভবনের মূল কাঠামো নির্মাণের সময় শেষ
স্টিল বিমটি জায়গামত বসানো উপলক্ষে
এই ‘টপিং অফ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়। নির্মাণ কাজের কাঠামোগত অংশের
কাজ সমাপ্তির প্রতীকী উদযাপন এটি।
এরপর তারা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য
রাখেন। পরে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গতকাল রাতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকা
ছেড়েছেন এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আজ বিশেষ বিমানে ঢাকা ছেড়ে
যাবেন।উল্লেখ্য, এক সময়ের দুই বৈরী
দেশ জার্মানী ও ফ্রান্স একজোট
হয়েছিল ১৯৬৩ সালে, ইউরোপীয়
ইউনিয়নের এলিসি চুক্তির মধ্য দিয়ে, যা
‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান’ বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও
অংশীদারিত্বের ভবিষ্যত রূপরেখা ঠিক
করে দেয়। চুক্তির ৪০ বছর পর ২০০৪ সালে
জার্মানী ও ফ্রান্স ঢাকায় একটি যৌথ
দূতাবাস প্রতিষ্ঠার সিদ্বান্ত নেয়। ২০১৩
সালে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা
হয়েছিল।প্রসঙ্গত, বারিধারার জমিটি
দূতাবাস নির্মাণের জন্য ফ্রান্স বরাদ্দ
পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জার্মানীর
সাথে খরচ ভাগাভাগির মাধ্যমে যৌথ
উদ্যোগে দূতাবাস ভবন নির্মাণের
উদ্যোগ নেয়া হয়। এখন একটি ভবনেই দুই
দেশের দূতাবাস থাকবে। বর্তমানে
ফ্রান্স ও জার্মানীর দূতাবাস গুলশানে
ভাড়া করা আলাদা দু’টি ভবনে অবস্থিত।
গতকাল বিকেলে দূতাবাস উদ্বোধন শেষে
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর
বারিধারায় ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল
স্কুলে এক সংবাদ সম্মেলনে
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মানীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার
স্টেইনমেয়ার ও বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও
উপস্থিত ছিলেন। এসময় ফ্রান্সের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফাবিউ জানান,
আসছে জলবায়ু সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট
ফান্ডের কাক্সিক্ষত অর্থ জমার বিষয়ে
ঐকমত্য হওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে
করেন তিনি।লঁরা ফাবিউ বলেন, ২০২০
সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সহায়তায় গঠিত
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে ১০০ বিলিয়ন
ডলার জমা হওয়ার কথা। কিন্তু
কাক্সিক্ষত অর্থ জমা পারেনি। এমনকি
২০১৫ সালে কী পরিমাণ অর্থ জমা
পড়েছে তারও হিসাব নেই। কীভাবে সে
অর্থ আদায় হবে সে বিষয়ে এখনও একমত
হওয়া যায়নি।তিনি বলেন, ফান্ডে উন্নত
দেশগুলোর যে পরিমাণ অর্থ দেয়ার কথা
তাও দিচ্ছে না তারা। তাই আসছে
জলবায়ু সম্মেলনে এ বিষয়ে ঐকমত্যে
পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ এমন মন্তব্য
করে লঁরা ফ্যাবিউস বলেন, জলবায়ু
পরিবর্তনের জন্য সরাসরি দায়ী না হয়েও
এর ক্ষতিকর দিকই বাংলাদেশকে ভোগ
করতে হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে
বাংলাদেশের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়,
বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ঢাকায়
ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাসের উদ্বোধন
প্রসঙ্গে লঁরা ফাবিউ বলেন, পৃথিবীতে
এটিই প্রথম ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাস।
আশা করছি, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে
জার্মানী ও ফ্রান্সের দ্বি-পক্ষীয়
সম্পর্ক দৃঢ়তর করতে ভূমিকা রাখবে।দুই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে ফ্রান্সের আট
কর্মকর্তা এবং জার্মানির ৩২ কর্মকর্তা
বাংলাদেশে এসেছেন। সফরসঙ্গী
হিসেবে আছেন দুই দেশের ১৪
গণমাধ্যমকর্মীও। একদিনের এ সংক্ষিপ্ত
সফরে সাভারের ভাগলপুরে বংশী নদী
পরির্দশন ও নৌভ্রমণ করেছেন তারা।
এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
তাদের সাথে ছিলেন। নদীতে ভ্রাম্যমাণ
ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নৌকায় যাদুঘর
পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ
করেন সফররত দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এ সময়
অন্যদের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের
নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, ফ্রান্সে
নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল
ইসলাম, জার্মানে বাংলাদেশের
প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন। এ সফরকালে জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে মানিয়ে
নিতে চলমান একটি প্রকল্পের কার্যক্রম
দেখতে তাদের পটুয়াখালীতে যাওয়ার
কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সূচিতে
পরিবর্তন আনা হয়। কিয়োটো প্রোটোকল
তামাদি হয়ে যাওয়ায় বিশ্ব যখন আসন্ন
প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে নতুন একটি
চুক্তি দেখার অপেক্ষায়, তখনই
বাংলাদেশে ইউরোপীয় দুই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর। উল্লেখ্য,
ইউরোপের এ দুই দেশের সঙ্গেই
বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
রয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে
স্বাধীনতার সময়ও বাংলার মানুষ
জার্মানী ও ফ্রান্সের সমর্থন পেয়েছে।
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের
সবচেয়ে বড় ক্রেতা জার্মানী। সেখানে
শুল্কমুক্ত সুবিধায় ব্যবসা করার সুযোগ
পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও
জার্মানীর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের
পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি ডলার, যার
একটি বড় অংশ বাংলাদেশ রপ্তানি
করে। আর ফ্রান্সের সঙ্গে
বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে
প্রায় ২০০ কোটি ডলার। জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা,
টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার ও
সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানী ও
ফ্রান্সের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।
সফরে এসে ফ্রান্স ও জার্মানীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারিধারায় দুই দেশের
যৌথ মিশন ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাস
উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশে
প্রথমবারের মতো ফ্রাঙ্কো-জার্মান
দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়েছে, যা
বিশ্বেও প্রথম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্স ও
জার্মানীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও
জোরদার করতে ঢাকায় এই ফ্রাঙ্কো-
জার্মান দূতাবাস স্থাপন করা হয়েছে।
ফ্রান্স ও জার্মানী দুই দেশ এই যৌথ
দূতাবাসকে তাদের ঐক্যের প্রতীক
হিসেবে দেখছে।গতকাল সোমবার
সকালে বিশেষ বিমানে ঢাকা এসে
পৌঁছান ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লুরেন্ট ফাবিয়াস ও জার্মান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার। এরপর
সফররত দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগপূর্ণ
আবহাওয়ার কারণে তাদের নির্ধারিত
পটুয়াখালী সফর স্থগিত করেন। তবে
তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মাহমুদ আলীর সঙ্গে সকালে সাভারে
বংশী নদী ভ্রমণে বের হন। দুপুরে
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তারা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলীর সাথে বৈঠক করেন এবং তাদের
সম্মানে দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
এরপর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন। এরপর বিকেলে দুইমন্ত্রী উপস্থিত
হন ‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান’ যৌথ দূতাবাস
ভবনের ‘টপিং অফ’ অনুষ্ঠানে। কোনো
ভবনের মূল কাঠামো নির্মাণের সময় শেষ
স্টিল বিমটি জায়গামত বসানো উপলক্ষে
এই ‘টপিং অফ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়। নির্মাণ কাজের কাঠামোগত অংশের
কাজ সমাপ্তির প্রতীকী উদযাপন এটি।
এরপর তারা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য
রাখেন। পরে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গতকাল রাতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকা
ছেড়েছেন এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আজ বিশেষ বিমানে ঢাকা ছেড়ে
যাবেন।উল্লেখ্য, এক সময়ের দুই বৈরী
দেশ জার্মানী ও ফ্রান্স একজোট
হয়েছিল ১৯৬৩ সালে, ইউরোপীয়
ইউনিয়নের এলিসি চুক্তির মধ্য দিয়ে, যা
‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান’ বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও
অংশীদারিত্বের ভবিষ্যত রূপরেখা ঠিক
করে দেয়। চুক্তির ৪০ বছর পর ২০০৪ সালে
জার্মানী ও ফ্রান্স ঢাকায় একটি যৌথ
দূতাবাস প্রতিষ্ঠার সিদ্বান্ত নেয়। ২০১৩
সালে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা
হয়েছিল।প্রসঙ্গত, বারিধারার জমিটি
দূতাবাস নির্মাণের জন্য ফ্রান্স বরাদ্দ
পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জার্মানীর
সাথে খরচ ভাগাভাগির মাধ্যমে যৌথ
উদ্যোগে দূতাবাস ভবন নির্মাণের
উদ্যোগ নেয়া হয়। এখন একটি ভবনেই দুই
দেশের দূতাবাস থাকবে। বর্তমানে
ফ্রান্স ও জার্মানীর দূতাবাস গুলশানে
ভাড়া করা আলাদা দু’টি ভবনে অবস্থিত।
গতকাল বিকেলে দূতাবাস উদ্বোধন শেষে
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর
বারিধারায় ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল
স্কুলে এক সংবাদ সম্মেলনে
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মানীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার
স্টেইনমেয়ার ও বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও
উপস্থিত ছিলেন। এসময় ফ্রান্সের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফাবিউ জানান,
আসছে জলবায়ু সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট
ফান্ডের কাক্সিক্ষত অর্থ জমার বিষয়ে
ঐকমত্য হওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে
করেন তিনি।লঁরা ফাবিউ বলেন, ২০২০
সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সহায়তায় গঠিত
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে ১০০ বিলিয়ন
ডলার জমা হওয়ার কথা। কিন্তু
কাক্সিক্ষত অর্থ জমা পারেনি। এমনকি
২০১৫ সালে কী পরিমাণ অর্থ জমা
পড়েছে তারও হিসাব নেই। কীভাবে সে
অর্থ আদায় হবে সে বিষয়ে এখনও একমত
হওয়া যায়নি।তিনি বলেন, ফান্ডে উন্নত
দেশগুলোর যে পরিমাণ অর্থ দেয়ার কথা
তাও দিচ্ছে না তারা। তাই আসছে
জলবায়ু সম্মেলনে এ বিষয়ে ঐকমত্যে
পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ এমন মন্তব্য
করে লঁরা ফ্যাবিউস বলেন, জলবায়ু
পরিবর্তনের জন্য সরাসরি দায়ী না হয়েও
এর ক্ষতিকর দিকই বাংলাদেশকে ভোগ
করতে হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে
বাংলাদেশের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়,
বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ঢাকায়
ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাসের উদ্বোধন
প্রসঙ্গে লঁরা ফাবিউ বলেন, পৃথিবীতে
এটিই প্রথম ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাস।
আশা করছি, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে
জার্মানী ও ফ্রান্সের দ্বি-পক্ষীয়
সম্পর্ক দৃঢ়তর করতে ভূমিকা রাখবে।দুই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে ফ্রান্সের আট
কর্মকর্তা এবং জার্মানির ৩২ কর্মকর্তা
বাংলাদেশে এসেছেন। সফরসঙ্গী
হিসেবে আছেন দুই দেশের ১৪
গণমাধ্যমকর্মীও। একদিনের এ সংক্ষিপ্ত
সফরে সাভারের ভাগলপুরে বংশী নদী
পরির্দশন ও নৌভ্রমণ করেছেন তারা।
এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
তাদের সাথে ছিলেন। নদীতে ভ্রাম্যমাণ
ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নৌকায় যাদুঘর
পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ
করেন সফররত দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এ সময়
অন্যদের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের
নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, ফ্রান্সে
নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল
ইসলাম, জার্মানে বাংলাদেশের
প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন। এ সফরকালে জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে মানিয়ে
নিতে চলমান একটি প্রকল্পের কার্যক্রম
দেখতে তাদের পটুয়াখালীতে যাওয়ার
কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সূচিতে
পরিবর্তন আনা হয়। কিয়োটো প্রোটোকল
তামাদি হয়ে যাওয়ায় বিশ্ব যখন আসন্ন
প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে নতুন একটি
চুক্তি দেখার অপেক্ষায়, তখনই
বাংলাদেশে ইউরোপীয় দুই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর। উল্লেখ্য,
ইউরোপের এ দুই দেশের সঙ্গেই
বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
রয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে
স্বাধীনতার সময়ও বাংলার মানুষ
জার্মানী ও ফ্রান্সের সমর্থন পেয়েছে।
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের
সবচেয়ে বড় ক্রেতা জার্মানী। সেখানে
শুল্কমুক্ত সুবিধায় ব্যবসা করার সুযোগ
পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও
জার্মানীর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের
পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি ডলার, যার
একটি বড় অংশ বাংলাদেশ রপ্তানি
করে। আর ফ্রান্সের সঙ্গে
বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে
প্রায় ২০০ কোটি ডলার। জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা,
টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার ও
সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানী ও
ফ্রান্সের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।