মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার
প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ আমীকাল
সাংবাদিকদেরকে দেবেন আন্দোলনরত
মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছুরা। প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবাদে
আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের
সামনে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-
বুদ্ধিজীবি সংহতি সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা
দেয়া হয়েছে।
(ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের শান্তি পূর্ণ সমাবেশ )
সমাবেশে বক্তারা স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে
প্রকৃত অপরাধীদের শণাক্ত করে নতুন
প্রশ্নপত্রে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি
জানান। একইসাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জাতির কাছে
ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার
পরামর্শ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে প্রশ্ন করেন, যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম সাহেব কি বিপুল ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে এই ভর্তি বাণিজ্য করেছেন ? তা না হলে তিনি কেন এই ব্যাপারটাকে ধামা চাপা দিতে চাইছেন ?
পুনরায় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে
এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনরত
শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সকাল ১০টায় আবারো
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হবেন।
সেখান থেকে মিছিল সহকারে শাহবাগে গিয়ে
অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। পরে
শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় প্রেস
ক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে
মেডিক্যাল প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ সাংবাদিকদেরকে
সরবরাহ করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মুখপাত্র খালিদ সাইফুল্লাহ এই
কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের
প্রমাণপত্র একাধিকবার সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে
দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু এ
ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো
ধরনের সহায়তা করা হয়নি, কোনো
যোগাযোগও করা হয়নি। সর্বশেষ স্বাস্থ্য
অধিদফতরের দিকে যেতে চাইলে সেখানেও
পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এজন্য এখন গণমাধ্যমে
প্রমাণগুলো দেয়া হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া
আদালতেও তারা প্রমাণগুলো হাজিরের জন্য
যথেষ্ট সময় পাননি বলে দাবি করেন।
সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু
মুহাম্মদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সাবেক ছাত্র
নেতা ডা. মোস্তাক হোসেন, ঢাবি শিক্ষক ড.
শান্তনু মজুমদার, ড. ফাহমিদুল হক, ভাস্কর রাসা, অভিভাবক
কামরুজ্জামান, সঙ্গীত শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু,
অধ্যক্ষ আশরাফ কামাল, অভিভাবক অ্যাডভোকেট
মাহবুবুর রহমান, নুরুল আমিন, প্রকৌশলী মো: এনামুল
হক প্রমুখ।
আনু মুহাম্মদ বলেন, মেডিক্যাল প্রশ্নপত্র ফাঁসের
যে অভিযোগ উঠেছে তার স্বচ্ছ তদন্তে একটি
কমিটি গঠন করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীদের
শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসাথে একটি নতুন
প্রশ্ন করে পুনরায় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা
নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রকৃত
যোগ্যরাই মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারে। এ
পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও নেয়া যেতে
পারে। এসময় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জাতির কাছে
ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
সাংবাদিক আবু সাঈদ খানও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
অধীনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার
আহবান জানান। একইসাথে মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁসের
তদন্ত করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান
তিনি।
ভাস্কর রাসা বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা
প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ যাচাইয়ের সুযোগ না দিয়ে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন কিছু হয়নি। তাহলে ১৪ জন
আটক হলো কিভাবে? একজন মারা গেলই বা
কিভাবে? মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে
আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এদেশে
ছাত্র আন্দোলন কখনোই ব্যর্থ হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন মেধা হত্য
হচ্ছে। এটা গণহত্যার শামিল। চিকিৎসা একটি বিশাল
ব্যাপার। সেখানে যদি ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে
শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় তাহলে তারা আমাদেরকে
মেরেই ফেলবে। তিনি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে
একটি তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহবান জানান।
কান্না বিজড়িত কণ্ঠে অভিভাবক অধ্যক্ষ আশরাফ
কামাল বলেন, এখানে যে শিক্ষার্থীরা
আন্দোলন করছেন তারা স্বেচ্ছায় আসছেন,
আমাদের পকেটের টাকা খরচ করে। বাইরের
কেউ বস্তা বস্তা টাকা দিচ্ছে না। এসব
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে তিনি
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ওদিকে পূর্বঘোষিত এই সংহতি সমাবেশকে
কেন্দ্র করে আজ শাহবাগ এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব্যারিকেড দেয়ার পাশাপাশি
মোতায়েন ছিল বিপুল পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা
সংস্থার সদস্য। সাথে ছিল রায়ট কার এবং জলকামান। যার
সমালোচনা করতেও ছাড়েননি বক্তারা।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ আমীকাল
সাংবাদিকদেরকে দেবেন আন্দোলনরত
মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছুরা। প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবাদে
আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের
সামনে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-
বুদ্ধিজীবি সংহতি সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা
দেয়া হয়েছে।
(ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের শান্তি পূর্ণ সমাবেশ )
সমাবেশে বক্তারা স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে
প্রকৃত অপরাধীদের শণাক্ত করে নতুন
প্রশ্নপত্রে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি
জানান। একইসাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জাতির কাছে
ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার
পরামর্শ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে প্রশ্ন করেন, যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম সাহেব কি বিপুল ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে এই ভর্তি বাণিজ্য করেছেন ? তা না হলে তিনি কেন এই ব্যাপারটাকে ধামা চাপা দিতে চাইছেন ?
পুনরায় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে
এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনরত
শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সকাল ১০টায় আবারো
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হবেন।
সেখান থেকে মিছিল সহকারে শাহবাগে গিয়ে
অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। পরে
শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় প্রেস
ক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে
মেডিক্যাল প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ সাংবাদিকদেরকে
সরবরাহ করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মুখপাত্র খালিদ সাইফুল্লাহ এই
কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের
প্রমাণপত্র একাধিকবার সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে
দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু এ
ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো
ধরনের সহায়তা করা হয়নি, কোনো
যোগাযোগও করা হয়নি। সর্বশেষ স্বাস্থ্য
অধিদফতরের দিকে যেতে চাইলে সেখানেও
পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এজন্য এখন গণমাধ্যমে
প্রমাণগুলো দেয়া হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া
আদালতেও তারা প্রমাণগুলো হাজিরের জন্য
যথেষ্ট সময় পাননি বলে দাবি করেন।
সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু
মুহাম্মদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সাবেক ছাত্র
নেতা ডা. মোস্তাক হোসেন, ঢাবি শিক্ষক ড.
শান্তনু মজুমদার, ড. ফাহমিদুল হক, ভাস্কর রাসা, অভিভাবক
কামরুজ্জামান, সঙ্গীত শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু,
অধ্যক্ষ আশরাফ কামাল, অভিভাবক অ্যাডভোকেট
মাহবুবুর রহমান, নুরুল আমিন, প্রকৌশলী মো: এনামুল
হক প্রমুখ।
আনু মুহাম্মদ বলেন, মেডিক্যাল প্রশ্নপত্র ফাঁসের
যে অভিযোগ উঠেছে তার স্বচ্ছ তদন্তে একটি
কমিটি গঠন করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীদের
শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসাথে একটি নতুন
প্রশ্ন করে পুনরায় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা
নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রকৃত
যোগ্যরাই মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারে। এ
পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও নেয়া যেতে
পারে। এসময় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জাতির কাছে
ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
সাংবাদিক আবু সাঈদ খানও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
অধীনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার
আহবান জানান। একইসাথে মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁসের
তদন্ত করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান
তিনি।
ভাস্কর রাসা বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা
প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ যাচাইয়ের সুযোগ না দিয়ে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন কিছু হয়নি। তাহলে ১৪ জন
আটক হলো কিভাবে? একজন মারা গেলই বা
কিভাবে? মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে
আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এদেশে
ছাত্র আন্দোলন কখনোই ব্যর্থ হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন মেধা হত্য
হচ্ছে। এটা গণহত্যার শামিল। চিকিৎসা একটি বিশাল
ব্যাপার। সেখানে যদি ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে
শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় তাহলে তারা আমাদেরকে
মেরেই ফেলবে। তিনি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে
একটি তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহবান জানান।
কান্না বিজড়িত কণ্ঠে অভিভাবক অধ্যক্ষ আশরাফ
কামাল বলেন, এখানে যে শিক্ষার্থীরা
আন্দোলন করছেন তারা স্বেচ্ছায় আসছেন,
আমাদের পকেটের টাকা খরচ করে। বাইরের
কেউ বস্তা বস্তা টাকা দিচ্ছে না। এসব
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে তিনি
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ওদিকে পূর্বঘোষিত এই সংহতি সমাবেশকে
কেন্দ্র করে আজ শাহবাগ এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব্যারিকেড দেয়ার পাশাপাশি
মোতায়েন ছিল বিপুল পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা
সংস্থার সদস্য। সাথে ছিল রায়ট কার এবং জলকামান। যার
সমালোচনা করতেও ছাড়েননি বক্তারা।