প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে যেমন সাবলম্বী হচ্ছি, ঠিক তেমনিভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রে মাদকের বিরুপ প্রভাব পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এতে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। মাদকের প্রভাব ধনিকশ্রেণি থেকে নিম্নশ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পরিবারকে সবার আগে সোচ্চার হতে হবে।
রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটা পরিবারে কেউ মাদকাসক্ত থাকলে ওই পরিবারের কষ্টের সীমা থাকে না। এমনও দেখা গেছে, মাদকাসক্ত সন্তান পিতামাতাকেও হত্যা করে ফেলে।
এ ক্ষেত্রে মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান র্যাব পরিচালনা করছে এটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে নিতে হবে। আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে আমাদের আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। বিশেষ করে প্রতিটি পরিবারকে আরও সোচ্চার হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। যাতে মানুষ নিজেদের ঘরের সন্তানদের খোঁজখবর রাখে। তারা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশছে, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত কিনা সে বিষয়েও খোঁজখবর রাখা উচিত। তাদের বিপদ থেকে ফিরিয়ে আনা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা জাতীয়ভাবে এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি করেছি। যাতে করে প্রত্যেকটা পরিবারের সন্তানদের বিশেষ নজর দেওয়া হয়। যেন কোনোভাবেই তারা মাদকাসক্ততে জড়িয়ে না পড়ে। এ বিষয়ে আরও আমাদের কাজ করা দরকার। তবে এ বিষয়ে র্যাব যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। র্যাবের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী পাচার, নির্যাতন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করছে র্যাব। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। র্যাবের এমন কার্যক্রম ভূমিকা প্রশংসনীয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস