বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মিডিয়া কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার। এর আগে তিনি জানান, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করতে শাহজাহানপুরের পাশে শহীদবাগ মসজিদ গলি ঘিরে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী।
ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমে বলেন, মির্জা আব্বাসকে আটক করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালতের তার জামিন বাতিল করে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস