বাংলাদেশ

সরকারের গাফিলতিতে ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন : ড. আনু মোহাম্মদ

তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ  বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব   ড. আনু মোহাম্মাদ বলেছেন, সরকারের গাফিলতির কারণেই সুন্দরবনে  অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। সরকারকে  আমরা ১৫ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছি এর মধ্যে যদি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা  অথবা  সরকার প্রকাশ্যে আলোচনায় না আসে  তাহলে আমরা  ১৭ মে ঢাকাতে আন্দোলনের  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব ।

শুক্রবার বিকেলে  বাগেরহাট প্রেসক্লাবে  সুন্দরবন  সন্নিহিত বাগেরহাট, খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও যশোর  জেলার তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আঞ্চলকি কমিটির  প্রতিনিধি সভায়  তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০ মে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আন্দোলনের  কর্মসূচি হবে দুই ধরনের  একটি হবে এ অঞ্চলের ৬টি জেলাকে  নিয়ে কর্মসূচি। অন্যটি হবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। তবে এবারের কর্মসূচির মধ্যে চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও , সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারাদেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ , এছাড়া  বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি,  হরতালের মত কর্মসূচিগ্রহণ করে  দেশ ও দেশের বাইরে  এ আন্দোলনের  মাধ্যমে সরকারকে সুন্দরবন ধ্বংসের কর্মসূচি  তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে  সরে আসতে  বাধ্য করা হবে।
 
তিনি আরো বলেন, আমাদের এ অন্দোলনের সাথে ব্যাপক জন সম্পৃক্ততা  রয়েছে । আমাদের সাথে যদি কোনো রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের  নিয়ে এ আন্দোলন করা হবে। 

আর সরকার কোনো ধরনের বাধা দিয়ে এ আন্দোলন  থামাতে পারবে না ।

সুন্দরবনে আগুন লাগানোর সাথে সরকারি লোকেরা জড়িত এ কারণে প্রমাণ করে সরকার তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সাথে সরকার আমাদের বৈঠক করতে দেয়নি তাহলে সরকারের  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের গোমর ফাঁস হয়ে যাবে সে ভয়ে । 

তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ  বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাটের আহ্বায়ক  রনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে  অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  রুহিন হাসান  পিন্স, সাইফুর হক, ডা. মনোজ দাস, ফররুখ হাসান জুয়েল প্রমুখ।