বাংলাদেশ

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। এদিকে ছুটির দিনেও মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের মানে তেমন কোনো উন্নতি নেই। তালিকায় বাতাসের মান ওঠানামা করলেও সাধারণত ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, অস্বাস্থ্যকর ও সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর শ্রেণিতেই থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
একই সময়ে, ২৪১ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে আছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। এছাড়াও একই তালিকায় ২১৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের স্কোর ১৬১ এবং রাজধানী ঢাকা ১৫২ স্কোর নিয়ে ৬ষ্ঠ অবস্থানে আছে। আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশের একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের জন্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।   এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস