করোনা কর্ণার

করোনায় ভেষজ চিকিৎসার প্রটোকল অনুমোদন দিল ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাস ও অন্যান্য মহামারীর সম্ভাব্য চিকিৎসায় আফ্রিকান ভেষজ ওষুধ পরীক্ষার প্রটোকল অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনিবার সংস্থাটি ওই প্রটোকল অনুমোদন দেয়। খবর এএফপি’র।
 
গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা ভেষজ ওষুধের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পাশাপাশি একটি চার্টারের অনুমোদন দেন। এতে তথ্য ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে বোর্ড গঠন করার কথা বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ এবং আরও দুটি সংস্থার কর্মীরা কভিড-১৯ চিকিৎসায় ভেষজ ওষুধের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পাশাপাশি তার জন্য তথ্য ও সুরক্ষা নিরীক্ষণ বোর্ড প্রতিষ্ঠায় চার্টার ও রেফারেন্সের শর্তাদির অনুমোদন দেয়।

এ সময় বলা হয়, একটি নতুন ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা সামগ্রিকভাবে মূল্যায়নে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন অ্যান্ড দ্য আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশন ফর সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স একযোগে কাজ করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক প্রম্পার টিউমাসিমি বলেন, প্রচলিত কোনো ওষুধ যদি নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন বলে প্রমাণিত হয়, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা দ্রুত তৈরির পরামর্শ দেবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উৎপাদন করার জন্য বলবে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ঠেকাতে নানা রকম চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চলছে। কভিড-১৯ সমসাময়িক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সনাতনী ওষুধ ব্যবহারের দিকটিও সামনে এনেছে। পরীক্ষাগারে তৈরি ওষুধের পাশাপাশি এসব সনাতনী ওষুধ পরীক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। মাস কয়েক আগে মাদাগাস্কার প্রেসিডেন্ট আর্টেমিসিয়া নামক একটি ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি পানীয় করোনা সারাতে সক্ষম; এমন দাবি করার প্রেক্ষাপটে গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রটোকল অনুমোদন দেয়। আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি ওষুধ ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তারা সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত যেকোনো কিছুকে স্বাগত জানায়। কিন্তু কোনো অপরীক্ষিত চিকিৎসার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।







এলএ বাংলা টাইমস/এমকে