করোনা কর্ণার

টিকা নিতে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যসেবীরা!

যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদান কর্মসূচির প্রথমধাপে করোনা রোগীদের সেবায় কাজ করা স্বাস্থ্যসেবীদের ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকাটি দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যসেবীদের মধ্যে অনেকেই টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করছেন বলে জানা গেছে। টাহেমা কাউন্টির সেইন্ট এলিজাবেথ কমিউনিটি হাসপাতালগুলোর মোট স্বাস্থ্যসেবীর অর্ধেক টিকা নিতে সম্মত হয়েছেন। মিশন হিলসের হলি ক্রস মেডিকেল সেন্টারের স্বাস্থ্যসেবীদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে একজন টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। লস এঞ্জেলেসে মোট স্বাস্থ্যসেবীদের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানান। রিভারসাইড কাউন্টিতেও টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন বলে নিশ্চিত করেছে কাউন্টি পাবলিক হেলথের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যসেবীরা টিকা নিতে অনীহা জানানোয় বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছেন টিকা আবিষ্কারে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, টিকা বিষয়ে জনমনে আস্থা তৈরি করতে স্বাস্থ্যসেবীরাই প্রথমে এগিয়ে আসবেন। ট্রায়ালে এই টিকা দুইটির কার্যকারিতা বেশ ভালোভাবেই পরীক্ষা করে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। যাদের অনেক বেশি এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তারা ছাড়া অন্য সবাই টিকাটি নিতে পারবে। এলার্জি ছাড়া এই টিকা দুইটির অন্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করা অনেকেই বেশ জোরালো যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবীদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা গর্ভবতী, তাই অনেকে এই টিকা নিতে চাইছেন না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে। গর্ভাবস্থায় টিকাটি নেওয়া কতোটা নিরাপদ, এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত গবেষণার বাকি রয়েছে। তবে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানায়, গর্ভবতী মায়েদের জন্য টিকাটি কোনো ঝুঁকি বয়ে আনবে না৷ এছাড়া অনেক স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, অনেক দিন ধরেই ভাইরাসটির সংস্পর্শে থেকে কাজ করায় তাদের শরীরে ইতোমধ্যে ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। তাই তাদের টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবী টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ স্বাস্থ্যসেবী তড়িঘড়ি করে টিকা অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এলএবাংলাটাইমস/ওএম