করোনা কর্ণার

গ্রীষ্মের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে উঠবে হার্ড ইমিউনিটি: সিএনএন

টিকাদান কার্যক্রম গতিশীল হওয়ার কারণে চলতি বছরের গ্রীষ্মের আগেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠবে বলে সিএনএন’র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। সাধারণত কোনো দেশে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে সেই দেশটির সিংহভাগ বাসিন্দাকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে হয়। কিছুদিন আগেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, আগামী মে মাসের মধ্যেই দেশের প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দাদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই সময়সূচির প্রেক্ষিতেই মূলত হার্ড ইমিউনিটি বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছে সিএনএন। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্র জানিয়েছে, গত সাতদিনে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই গতিতে চলতে থাকলে শুধুমাত্র টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রীষ্মের আগেই দেশটিতে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠবে। তবে এর আগেও হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ ইতোমধ্যে অনেক বাসিন্দার মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে যা হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর ড. এন্থনি ফাউসি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে অন্তত ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকার মাধ্যমে সুরক্ষিত করে তুলতে হবে। সিডিসির সূত্র মতে, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনগণের ৮ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৮০ লাখ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম এই গতিতে চললে মধ্য-সেপ্টেম্বরের আগেই শুধুমাত্র ফাইজার ও বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকার মাধ্যমে ৭০ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে এরই মধ্যে জনসন এন্ড জনসনের এক ডোজের টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। চলতি বছরের জুনের মধ্যেই জনসন এন্ড জনসন ১০০ মিলিয়ন টিকা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে টিকাদান কর্মসূচি আরো গতিশীল হতে যাচ্ছে দেশটিতে। টিকাদান কর্মসূচি যদি এই গতিতে চলতে থাকে, তাহলে জনসন এন্ড জনসনের ১০০ ডোজ টিকাসহ ৭০ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকা দিতে সময় লাগবে মধ্য-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বাসিন্দাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইমিউনিটি তৈরি করে ফেলবে। ফলে জুনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠবে। তবে বিশ্লেষণে আরো দেখা গেছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে টিকার কার্যকারিতা কিছুটা ব্যহত পারে। এছাড়া অনেকের মধ্যেই টিকা নেওয়া বিষয়ে এখনো দ্বিধাদ্বন্দ রয়েছে। সেক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।   এলএবাংলাটাইমস/ওএম