ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া করোনার ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকা কার্যকরী বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের ব্লাড সিরামের নমুনা সংগ্রহ করে ব্রাজিলের ভ্যারিয়েন্টটির বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অনুরূপ মিউটেশনের সাথে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা ভ্যারিয়েন্টটির বিরুদ্ধে বেশ সফলভাবে কাজ করছে। ব্রাজিলে ছড়ানো করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি P.1. নামে পরিচিত।
সোমবার (৮ মার্চ) নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের গবেষক ও ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকেল ব্রাঞ্চ P.1. ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অনুরূপ আরেকটি জেনেটিক্যাল ভার্সন তৈরি করে এই পরীক্ষা চালিয়েছে।
গবেষণায় ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকার দুই ডোজ গ্রহণের দুই থেকে চার সপ্তাহ পর ১৫ থেকে ২০ জনের দেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে জেনেটিক্যাল ভার্সনের সাথে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকা ব্রাজিলের স্ট্রেইন প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
ব্রাজিলে সাম্প্রতিক সংক্রমণের জন্য P.1. ভ্যারিয়েন্টটিকেই দায়ী করা হচ্ছে। মানাউস থেকে সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে ৪২ শতাংশের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিস্ত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানেও এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে।
এই ভ্যারিয়েন্টের সাথে সাউথ আফ্রিকায় ছড়ানো ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল রয়েছে। এর আগে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, এই ধরণের ভ্যারিয়েন্টের কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো দ্রুত ছড়ায় এবং টিকার কার্যকারিতা অনেক কমে যায়।
এর আগে ফাইজার ও বায়োএনটেক দাবি করেছিলো, তাদের তৈরি টিকা সাউথ আফ্রিকায় ছড়ানো B.1.351 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরি, তবে কিছুটা ধীর।
এছাড়া ফাইজার ও বায়োএনটেক তখন আরো জানায়, তাদের টিকা নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরি তবে এর কার্যকারিতা কীভাবে আরো বাড়ানো যায় ও আরএনএ টেকনোলজি কীভাবে আরো কার্যক্ষম করা যায়, সেই বিষয়ে গবেষণা চলছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম