স্বাস্থ্য

রোজায় ইসুবগুলের ভূষি কেন খাবেন?

সংযমের মাসে ইফতারিটা অবশ্যই হতে হবে পরিমিত ও স্বাস্থসম্মত। গরমকালে রোজা রাখা বেশ কষ্টের। গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়ে শরীর খারাপ হয়ে যায় খুব অল্পতেই। এজন্য প্রত্যেক রোজাদার ইফতারে শরবত পান করেন। শরবতের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত ইসুবগুলের ভূষি।

তবে ভিজিয়ে খাওয়ার চেয়ে শুকনা ইসুবগুলের ভূষি বেশি কার্যকর বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলছেন, ইসুবগুলের ভূষি উদ্ভিদজাত উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য এ ভূষি খুবই উপকারি।

বাচ্চা থেকে বড় যে কেউ খেতে পারে ইসুবগুলের ভুষি। এ ভূষির বৈশিষ্ট্য হলো, এটি দেহে এক ধরনের শীতল আমেজ দেয়। এজন্য রোজা রেখে ইফতারে ভূষির শরবত খেলে ভালো লাগে। ইসুবগুলের ভূষির ভেতর পানি ধারণক্ষমতা অনেক বেশি। এজন্য ভূষি খেলে আমাদের ক্ষুদ্রান্তে বাড়তি একটা চাপ তৈরি। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খাবার গ্রহণের দুই ঘণ্টা আগে ভুষি খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। আর যদি ওজন কমানোর জন্য কেউ খেতে চান, খাবারের আগে আগে খেলেই হবে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ ভূষি মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এতে খাবারের প্রতি রুচিও বাড়বে।

যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। আমাশয়ের রোগীরা সকালে ও রাতে একবার শরবতের সাথে খাবেন। কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসুবগুলের ভুষি খান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।

উল্লেখ করার মতো সব থেকে বড় বিষয়, ইসুবগুলের ভূষির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি শুকনা খেতে পারলে খুবই উপকার। মুখের মধ্যে কিছু দানা রেখে হালকা গরম পানি খাবেন। ঠাণ্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে ইসুবগুলের ভূষির গুণাগুণ অনেক বেড়ে যায়।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এইচ