নিউইয়র্ক

হিলারিকে প্রেসিডেন্ট করে ‘বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত’ গড়ার আশা

হিলারি ক্লিনটনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে বাংলাদেশে নারীনেতৃত্বের যে নজির স্থাপিত হয়েছে সে পথেহেঁটে নতুন ইতিহাস গড়ার আশা প্রকাশ করেছেনএক মার্কিন কংগ্রেসওম্যান।কংগ্রেসের জয়েন্ট ইকোনোমিক কমিটির সদস্যএবং কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের সদস্যক্যারলিন মেলনি বলেন, “নারী ক্ষমতায়নের যেউদাহরণ বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে তা আমরাওকরতে চাই।“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয়নেতা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারই শুধু নন, বড়একটি রাজনৈতিক দলের নেতাও মহিলা। নারীক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেরপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খ্যাতি আজবিশ্বজুড়ে।”সন্ত্রাস নির্মূলেও বাংলাদেশের ভূমিকা এখন সবজায়গায় প্রশংসিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেনতিনি।যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারিক্লিনটন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে থাকারঘোষণা দিচ্ছেন রোববার।তার আগের দিন শনিবার বিকালে নিউ ইয়র্কসিটির ব্যাটারি পার্কে সমবেত হন হিলারিরসমর্থকরা।‘উই আর রেডি ফর হিলারি’ লেখা ব্যানারেরসামনে সমবেত হন কয়েকশ মার্কিনী।সেখানেই কথা বলেন কংগ্রেসওম্যান মেলনি।নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেস সদস্যসাম্প্রতি বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করেন।তিনি বলেন, “নারী ক্ষমতায়নের যে উদাহরণবাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে, তা আমরাও করতে চাই।২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে আমরাডেমক্র্যাটরা নতুন ইতিহাস রচনা করেছি।“এবার হিলারি ক্লিন্টনকে জয়ী করেযুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এনেআরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই।”এক্ষেত্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের জোরালোভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।হিলারির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে দাবিকরে মেলনি বলেন, “সারা আমেরিকায় হিলারিরপক্ষে নীরব বিপ্লব শুরু হয়েছে।প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাদেওয়ার আগেই ৫০ মিলিয়ন ডলারের তহবিলগঠিত হয়েছে।কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী নামলিখিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নির্বাচনীপ্রচার টিমে কাজের জন্য।”এর আগে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাকওবামার নির্বাচনী প্রচারে এমন সাড়া পাওয়াগিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিলক্লিন্টনের স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ২০০৮ সালেওপ্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার জন্যলড়েছিলেন। সে সময় দলীয় প্রার্থী হওয়ারদৌঁড়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারকাছে হেরে যান তিনি।ওবামা পরবর্তীতে হিলারিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকরেন। এ পদে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন সাবেকফার্স্ট লেডি।