নিউইয়র্ক

করোনায় আগামী ২১ দিনে মারা যেতে পারে ২০ হাজার মার্কিনি


করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী তিন সপ্তাহে দেশটিতে মৃত্যু হতে পারে আরও ২০ হাজার মানুষের। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।


করোনা মহামারিতে ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিডিসি ধারণা করছে আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে এ সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৭৩ হাজার জনে। 

রাজ্যগুলোর স্থানীয় পর্যায়ে এখনো সর্বোচ্চ সতর্কতার অনুরোধ করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের বলা  হয়েছে যাতে তারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন। প্রধানত তরুণ-যুবকদের খামখেয়ালি আচরণের জন্য ভাইরাসের বিস্তার দ্রুত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিডিসি জানিয়েছে, ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু বাড়তে পারে, আলাবামা, কেন্টাকি, নিউজার্সি, পুর্তো রিকো, টেনেসি ও ওয়াশিংটনে। এসবের মধ্যে কিছু কিছু রাজ্যে অবস্থার উন্নতি হলেও এখন তা আবার অবনতি হয়েছে।

মেমোরিয়াল ডে ও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজ্যে দ্রুত বেড়েছে সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ বাড়লেও তা কমিয়ে আনতে একটাই উপায়; সেটা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চাল, জনসমাবেশ এড়ানো ও মাস্ক পরা।

ওয়াশিংটন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানের যতজন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ এমন কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন যারা করোনা পজিটিভ হলেও তাদের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহারে এই সংক্রমণ অনেকটাই এড়ানো যেত। 

ডক্টর ক্রিস মুরে নামের এক গবেষক বলেন, শতকরা ৫৫ ভাগ আমেরিকান মাস্ক পরছেন। এটা কম নয়। তবে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। যেমনটি সিঙ্গাপুরে ৯৫ ভাগ মানুষ মাস্ক পরছেন।


এলএ/বাংলা টাইমস/এন/এইচ