নিউইয়র্ক

এবার নিউ ইয়র্কে ছড়াচ্ছে করোনার আরেক স্ট্রেইন!

করোনার নতুন এক মিউটেশন ছড়াচ্ছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে। নতুন এই স্ট্রেইনেকে বলা হচ্ছে B.1.526। গবেষক দল বলছে, নতুন এই স্ট্রেইন দেহে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক কমিয়ে দিতে পারে। নিউ ইয়র্কের গবেষক দল জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে নতুন এই স্ট্রেইনটি প্রথম শনাক্ত হয়। তবে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভাইরাল সিক্যুয়েন্সে পরিণত হয়েছে এই স্ট্রেইনটি। নিউ ইয়র্কে প্রচলিত চারটি ভাইরাল সিকুয়েন্সের একটি হয়ে উঠেছে এই B.1.526। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুইটি গবেষক দল এ তথ্য জানিয়েছে। ক্যালটেক এর একটি গবেষক দল ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আরেক গবেষক দল এই স্ট্রেইন নিয়ে গবেষণা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এখনো কোনো সায়েন্টিফিক জার্নালে এর বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশিত না হলেও স্ট্রেইনের বিষয়টি সত্যি। রকফেলার ইউনিভার্সিটির ইমিউনলজিস্ট মিশেল নুসেনযুয়েগ বলেন, 'এটি খুবই উদ্বেগের সংবাদ তবে আশার বিষয় হচ্ছে, আমাদের এখনো কিছু একটা করার সুযোগ রয়েছে'। গবেষক দল ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এর পরিবর্তন সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে দেখছে। অল্প কিছু আক্রান্ত মানুষের কাছ থেকে এই জেনেটিক সিক্যুয়েন্স পর্যালোচনা করে দেখছেন। ক্যালটেকের গবেষক দল জেনেটিক ডাটাবেজের সাথে এই মিউটিশনের জেনেটিক পরিবর্তন মিলিয়ে দেখছেন। তাঁরা বলছেন, নিউ ইয়র্কের এই প্যাটার্ন পুনরাবৃত্তি ঘটছে। একই সাথে এটি আর কোনো প্যাটার্নের সাথে মিলছে না। গবেষক দল দুইটি করোনাভাইরাসের সিক্যুয়েন্স E484K এবং S477N এর উপস্থিতি পেয়েছেন। এগুলা মূলত ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকায় বেশি দেখা গেছে। এই দুইটির সম্মিলিত সিক্যুয়েন্সকে বলা হচ্ছে B.1.526। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে অন্তত ২৭ শতাংশ সংক্রমণ এই মিউটিশনের মাধ্যমে হচ্ছে বলে জানান গবেষকরা। অপরদিকে, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন। তারা ১ হাজার ১৪২ জন বাসিন্দার থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ফলাফলে দেখা গেছে, ১২ শতাংশ বাসিন্দা B.1.526 স্ট্রেইনে আক্রান্ত রয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম