নিউইয়র্ক

হ্যারিকেন আইডায় নিউ ইয়র্কে মৃত ১৮, হতাহত বাড়ার আশঙ্কা

হ্যারিকেন আইডায় নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রচণ্ড ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় নিউ ইয়র্ক জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক মেয়র বিল দে ব্লাজিও বলেন, 'নিউ ইয়র্ক ঐতিহাসিক আবহাওয়া বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। সেই সাথে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং সড়ক বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে'। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জনবহুল মেট্রোপলিটন এলাকার ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম পুনর্গঠন করতে কাজ চলছে। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির মিলিয়ন মিলিয়ন বাসিন্দা এই পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির গভর্নর বুধবারে স্টেট অব ইমার্জেন্সি জারি করে বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেন। নিউ ইয়র্ক সিটির সাবওয়ে ও কমিউটার রেল লাইন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পানি সাবওয়ে স্টেশন, বাসিন্দাদের বাড়ি ও রাস্তা ডুবিয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানায়, নিউ জার্সির কেয়ার্নিতে একটি পোস্টাল ভবনের ছাদ ধসে পরে। ভবনটির ভিতরে মানুষ ছিল। তাদের উদ্ধার করতে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু ঠিক কতোজন আহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। দ্য ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানায়, নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে এক ঘণ্টায় ৩ দশমিক ১৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ নিউ ইয়র্ক পুলিশ বাসিন্দাদের রাস্তায় বের না হতে নিষেধ করেছেন। এছাড়া ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানায়, তারা জরুরি প্রয়োজনে তৎক্ষনাৎ সেবা দিচ্ছে। শহরের সাবওয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে৷ একই সাথে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির অনেক ট্রেন সার্ভিস ও ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্যারিকেন আইডা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব দিক থেকে আঘাত হেনে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। রবিবার লুসিয়ানায় চার মাত্রার হ্যারিকেন হয়ে আঘাত হানে আইডা। হ্যারিকেন আইডায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে এবং নিউ অরল্যান্সে নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্যার জন্য বিভিন্ন প্রভাবক কাজ করেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণ আবহাওয়া প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ২ ডিগ্রী বৃদ্ধি পেয়েছে। কার্বন নিঃসরণ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এটি আরো বাড়বে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম