নিউইয়র্ক

এনওয়াইপিডির প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেপুটি ইন্সপেক্টর হচ্ছেন খন্দকার আব্দুল্লাহ

এনওয়াইপিডির প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেপুটি ইন্সপেক্টর হচ্ছেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। খন্দকার আব্দুল্লাহই প্রথম বাংলাদেশি- আমেরিকান, যিনি নিউইয়র্ক পুলিশের এমন উচ্চপদে আসীন হচ্ছেন। ডেপুটি ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার আগে খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটির ৬৯ প্রিসেংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী ডেপুটি ইন্সপেক্টর পদের আসন্ন পদোন্নতির জন্য খন্দকার আব্দুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিবাসী হয়ে ১৯৯৩ সালে খন্দকার আব্দুল্লাহ আমেরিকায় আসেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশিবহুল এলাকা কুইন্সের এস্টোরিয়া আর উডসাইড এলাকায় তাঁর বেড়ে ওঠা। ক্রিমিন্যাল জাস্টিসে স্নাতক খন্দকার আবদুল্লাহ তাঁর কর্মের জন্য এর মধ্যে পুলিশের অনেকগুলো মেডেল লাভ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ নগরী নিউইয়র্কে খন্দকার আব্দুল্লাহর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে অনেক খুনি, মাদক সম্রাটসহ দুর্ধর্ষ অপরাধী। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার মাধ্যমে অল্পদিনেই নিউইয়র্ক সিটির একজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুনাম অর্জন করেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। ২০০৫ সালের সামারে নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগে যোগ দেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। তিনি কলেজে পড়ার সময় জব ফেয়ারে দেখেন এনওয়াইপিডিতে লোক নেয়া হচ্ছে। প্রথমে অনেকটা খেয়ালের বশে তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দেন পুলিশ বিভাগে। ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার স্বপ্ন তাঁকে পেয়ে বসে সেই সময়েই। ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ নেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। এনওয়াইপিডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত বাহিনীতে তিন শতাধিক বাংলাদেশি আছেন। নিউইয়র্ক নগরীর ট্রাফিকসহ পুলিশের অন্যান্য বিভাগ মিলে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এলএবাংলাটাইমস/এজেড