ধর্ম

ঈদ এলো সাম্যের বারতা নিয়ে

বছর ঘুরে মুসলিম বিশ্বে আবার এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সাম্য, ন্যায় আর ভ্রাতেৃত্বের মহান বারতা নিয়ে মুসলমানদের ঘরে ঘরে আজ উৎসবের আমেজ।

কবির ভাষায়,
‘আমির ফকির এক হয়ে যায় যে ঈদেআয় না সবাই যাই ছুটে যাই সে ঈদে,এমনি করে থাকি সবাই জীবনভরযাই ভুলে যাই উঁচু-নিচু, আপন-পর।

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। বছরে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় খুশির দিন। রাত পোহালেই ঈদের আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে সবাই। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকায় ঈদ উদযাপন হবে মঙ্গলবার। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঈদ পালিত তবে বুধবার।

ঈদ নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী উচ্চারণ-
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদতুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি  তাগিদতোর সোনা দানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহদে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ।’
কবি ভাষায় ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। হিংসা-বিদ্বেষ ভেদাভেদ ভুলে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মিলিত হই ঈদের এই সীমাহিন আনন্দ উৎসবে।

ঈদুল ফিতর বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দিনটি মুসলমানদের জন্য বরকতময়ও। হিজরী দ্বিতীয় সন থেকে মুসলমানেরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন। হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক জাতিরই উৎসবের দিন আছে। আর আমাদের উৎসব হলো ঈদ।’

ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা গোসল শেষে পবিত্র হয়ে মিষ্টি মুখ করে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন পোশাক পড়ে ঈদের জামায়াতে শরীক হন। নামাজের পর পরিচিত অপরিচিত সবার সঙ্গেই কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা। এরপর সময়-সুযোগ করে আত্মীয়-বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপার তো রয়েছেই। ঈদে উপহার ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পর মিলনমেলার এক আবহ তৈরি হয়। এ সময় ধনী-গরিব ব্যবধান থাকে না। ঈদুল ফিতর ধনী গরিব ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে আপন করে নেয়। সবাইকে নিয়ে আসে এক কাতারে।
দীর্ঘ একমাস তারাবির নামাজ, সাহরি, ইফতার, জাকাত-ফিতরা ইবাদত বন্দেগীসহ সিয়াম সাধনার মধ্যদিয়ে পার করার পর মুসলিম উম্মাহ রোজা ভঙ্গ করে মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য উপহারস্বরূপ এই ঈদুল ফিতর।

একমাস টানা সিয়াম সাধনার পর ঈদের অনাবিল আনন্দ বয়ে আনে এক অপার্থিব অনুভূতি। এ আনন্দ পরকালীন জীবনের জন্য শান্তি ও মুক্তি লাভের এক অনন্য অনুভূতি। তাই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের রমজান শেষে শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা মাত্রই খুশির জোয়ার বয়ে যায় প্রতিটি রোজাদারের। এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে।
দেশের মতো প্রবাসেও মুসলমানরা সাধ্যমতো উদযাপন করেন ঈদগুলো। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। লস এঞ্জেলেস প্রবাসী কমিউনিটি ইতোমধ্যে ঈদের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। সকালে ঈদের সালাত আদায়ের মাধ্যমে শুরু হবে ঈদের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

সিইও’র শুভেচ্ছা:পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লস এঞ্জেলেসসহ দেশ-বিদেশের সকল প্রবাসী মুসলমান কমিউনিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এলএ বাংলটাইমসের সিইও আব্দুস সামাদ। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সবার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করে বলেন, সুখে আনন্দে কাটুক সবার ঈদ। ঈদের আলোয় আলোকিত হোক সবার হৃদয়। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মানুষ।