ধর্ম

ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও গণহত্যার নির্মম সত্য ইতিহাস

কিছু কষ্টের কথা কখনো ভুলা যায় না ! প্রায়
৩০০০ হাজার বছর আগে ফিরাউন, মুসা (আঃ)
কে হত্যার উদ্দেশ্যে ঐ সময় মায়ের পেট
থেকে সদ্য জন্ম নেয়া সব শিশুদের হত্যা করে
যে নারকীয়তার সৃষ্টি করেছিল তা মানুষ
আজও ভুলে নি।
ফিরাউন জন্ম নেয়ার পর শিশুদের হত্যা
করেছিল। কিন্তু এই আধুনিক যুগের অসভ্য বর্বর
উগ্র ভারতীয় হিন্দুরা সেই ফিরাউনকেও হার
মানিয়েছে। ভারতে মুসলিম শিশুরা মায়ের
পেটের ভেতর ও নিরাপদ না। শুধু শিশু কেন
মুসলিম নারীরাই ভারতে সবচেয়ে অনিরাপদ!
গুজরাট, ভারতের সর্বপশ্চিমে অবস্থিত একটি
রাজ্য। আসুন,দেখা যাক কি হয়েছিল এখানে!
মুসলিম গণহত্যার ষড়যন্ত্রঃ
ঘটনার সূত্রপাত ২০০২ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি--
গুজরাটের SABARMATI EXPRESS নামে একটি
ট্রেনে হামলায় ভারতের ৫৯ জন মারা যায়।
Wikipedia এর তথ্য অনুসারে ২৫৪ জন। এ ঘটনায়
কোন প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের দোষী
সাব্যস্ত করা হয়। অথচ  পরবর্তীতে ‘নতুন
নানাভাতি’ তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে
বেরিয়ে আসে যে, ভারতের মুসলমানদের উপর
হামলা চালানোর পূর্ব-ষড়যন্ত্র হিসেবেই এ
অগ্নিকান্ডের ঘটনা সাজানো হয়, যা উগ্র
হিন্দু সন্ত্রাসী করেছিল এবং সেটা
মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশেই
হয়েছিল। সেটাকেই ছুতো করে
মাসখানেক ধরে সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দুরা
মুসলিমদের উপর হামলা চালায়। শুরু হয় দাঙ্গা।
সংখ্যা লঘু হওয়াতে মুসলিমদের উপর হিন্দুদের
নির্যাতন মাত্রা ছাড়ায়। নির্যাতনের ধরন সব
যুগের সব বর্বরতাকে হার মানিয়েছে।
মুসলিমদের ব্যাসায়িক প্রতিষ্ঠান,বাড়ি
পুড়িয়ে দেয়া হয়। অধিকাংশ মুসলিমদের
পুরিয়ে মারা হয়েছে। শত শত মুসলিম নারীকে
ধর্ষণ করা হয়েছে। শিশুদেরকেও তারা ছাড়
দেয়নি। প্রায় লাখখানেক মুসলিম তাদের
বাড়ি ঘর ছেরে পালিয়ে যায়। এই নির্যাতনে
RSS সহ হিন্দু উগ্র সন্ত্রাসীরা অংশ নেয়।
গুজরাটে মুসলিম গণহত্যার নির্মমতাঃ
বাবুভাই প্যাটেল, সকলের কাছে পরিচিত
উপনাম বাবু বজরঙ্গি হিসেবে।
গুজরাটে মুসলিম হত্যাকান্ডের অন্যতম এই
নরপশু এমনই এক বর্বর পিশাচ যে কিনা মায়ের
পেট থেকে ৯ মাসের ফিটাসকে (ভুমিষ্ট
হওয়ার আগপর্যন্ত শিশুদের ফিটাস বলে)
মায়ের পেট কেটে বের করে আগুনে পুরিয়ে
দিয়েছিল।! ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব?
হ্যাঁ, এটা এই পশু সম্ভব করেছে। কাউসার বানু
নামের এক ৯ মাসের গর্ভবতী মহিলার পেট
কেটে এই শয়তান তার জম্ন না নেয়া শিশুকে
আগুনে পুরিয়ে দেয়। সে প্রথমে ঐ মাকে
ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ছুরির ফলা দিয়ে
তার পেট কেটে ফেলে। তারপর তার
ফিটাসকে বের করে আগুনে ছুরে ফেলেদেয়।
তীব্র মুসলিম বিরোধী এই নরাধমের ইচ্ছা
ভারত থেকে মুসলিমদের সম্পূর্ণ ধবংস করে
দেয়া।
তেহেলকার ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক
২০০৭ সালে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে তার
একটি সাক্ষাৎকার ধারন করে। ২০০২ সালে
গুজরাট দাঙ্গার সময় 'নারোদা পাতিয়া
গণহত্যা' (আহমেদাবাদ এলাকায়) চালাতে
সে কিভাবে হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল,
সেই ঐতিহাসিক সাক্ষৎকারে হিন্দুত্ববাদী
বাজরাঙ্গি অতি আনন্দের সাথে তা বর্ণনা
করে। বর্ণনা করে কিভাবে সে ও তার
সাঙ্গপাঙ্গরা বহু মুসলমানকে আগুনে পুড়িয়ে
ও তরোয়ালে কেটে হত্যা করে। সেই
ঐতিহাসিক সাক্ষৎকারের কিছু অংশ অনুবাদ
করে দেয়া হল-
"কেটে টুকরা করা, পুড়িয়ে দেয়া, আগুন
ধরানো অনেক কিছুই করা হল, অনেক কিছুই।
আসলে আমরা মুসলমানদের আগুনে পুড়াতেই
বেশি পছন্দ করি, কারণ এই জারজরা তাদের
দেহ মৃত্যুর পর চিতায় পুড়াতে চায় না।"
আমার শুধু একটি ইচ্ছা,......শুধু একটি শেষ
ইচ্ছা...... আমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া
হোক,.......আমাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলেও
তা গ্রাহ্য করব না.........তবে আমাকে
ফাঁসিতে দেওয়ার আগে মাত্র দুইদিন সময়
দেয়া হোক, আমি জুহাপুরা (মুসলিম অধ্যুষিত
এলাকা)য় চলে যাব। সেখানে ৭-৮ লক্ষ লোক
বাস করে। আমি তাদের শেষ করব........কমকরে
হলেও তো সেখানে আমার ২৫-৫০ হাজার
মুসলমানকে হত্যা করা উচিত।"
গণহত্যার পর থানায় মামলার নথিতে লেখা
হয়, এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলার পেট চিরে
আমি ৯ মাসের ভ্রনকে বের করেছি, নিক্ষেপ
করেছি আগুনে।
গণহত্যার পর থানায় মামলার নথিতে লেখা
হয়, এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলার পেট চিরে
আমি ৯ মাসের ভ্রনকে বের করেছি, নিক্ষেপ
করেছি আগুনে।
আসলে আমি তাদেরকে দেখিয়েছি, দেখ!
আমাদের বিরোধীতার শাস্তি কি।
একজনকেও ছাড়া যাবে না। এমনি তোদের
ভূমিষ্ট হতেও দেয়া যাবে না। আমি বলেছি,
যদি মহিলাও হয়....., যদি শিশু হয় তবু তাদের
কেটে ফেল.....চিড়ে ফেল..........টুকরো করে
ফেল......আগুনে পুড়াও সকল মুসলমানদের।
আমাদের অনেকে তাদের ঘরবাড়ি লুট করতে
অযথা সময় নষ্ট করছিল। আমি বলেছি, অযথা
এ কাজ না করে তাদের কাউকে বাঁচতে দিও
না, এরপর সবই তো আমাদের। আমরা দল বেধে
বেধে মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঘুরছিলাম।
প্রত্যেকেই মুসলমান মারছিল অতি উন্মাদনার
সাথে।...আমরা এসআরপি (স্টেট রিজার্ভ
পুলিশ ফোর্স) ক্যাম্পের পাশেই এই গণহত্যা
চালাই।...আসলেএকসাথে"মুসলমান মারতে
এত্ত মজা লাগে না....সাহেব, আসলে তাদের
মারার পর আমার নিজেকে রানা প্রতাপ বা
মহেন্দ্র প্রতাপের মত (মুসলিম নিধনকারী
রাজা) মত মনে হয়েছে। এতদিন শুধু তাদের
নাম শুনেছি, কিন্তু সেই দিন আমি তাই
করলাম....."
এই জানোয়ারের সাক্ষৎকারের লিংকঃ
http://archive.tehelka.com/story_main35.asp?
filename=Ne031107After_killing.asp
এটা ছিল একটি অপকর্মের নমুনা মাত্র। এ
ছাড়াও শত শত মুসলিম নারীদেরকে ধর্ষণ
করার পর আগুনে পুরিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ।
মুসলিমদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের অন্য
সদস্যদের সামনে মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা
হয়েছে। তারপর তাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
ভাবুন সেই বিভীষিকার কথা যেখনে আপনার
সামনে আপনার বোনের সম্মান লুন্ঠিত হচ্ছে।
তকে শত শত উগ্র হিন্দু তদের মাঝে নিয়ে
বিবস্ত্র করে তাকে অপমান করছে অথচ
আপনি কিছু করতে পারছেন না।মুসলিম
প্রতিটা নারী কি আমাদের মা অথবা বোন
না?
একটি তথ্য অনুযায়ী ভারতের গুজরাট রাজ্যে
২০০২ সালে মুসলিম বিরোধী এই দাঙ্গায়
অন্ততঃ ৫০০০ মুসলমান শহীদ(ইনশাআল্লাহ)
হয়েছিলেন।
গুজরাট দাঙ্গায় দাঙ্গাকারীদের না
ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদি পুলিশকে
নির্দেশ দিয়েছিল। এক পুলিশকর্মীর
জবানবন্দী, মুসলিমদের বাঁচানোর জন্য
আমাদের কোনো নির্দেশই ছিল না। ২০০২
সালের দাঙ্গার সময় মুসলিম মহিলারা
পুলিশের কাছে তাদের ইজ্জত রক্ষার
আবেদন জানালে পুলিশ বলেছিল,
'তোমাদেরকে তো শেষমেষ মেরেই ফেলবে।
তার আগে ইজ্জত থাকলো কি চলে গেল
তাতে কি?' এমনকি তলোয়ার হাতে
দাঙ্গাকারীরা গর্ভবতী মুসলিম নারীদের
পেট ফেঁড়ে ভ্রুণ বের করে তা তরবারি'র
আগায় বিদ্ধ করে নারকীয় উল্লাস প্রকাশ
করেছে বলেও সে সময় গণমাধ্যমে খবর
বেরিয়েছিল।
উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ঐ দাঙ্গায় অন্ততঃ ৪০০
মুসলিম মহিলাকে ধর্ষণ করেছে ।কয়েকশ
মুসলিম মেয়ে এবং মহিলাকে হরণ এবং টেনে
নিয়েতাদের পরিবারের সামনেই তদের
বিবস্ত্র করা হয়, কয়েকশ হিন্দু নরপশু তাদের
নোংরা কথা বলে অবমাননা করে, ভয় দেখায়
ধর্ষণ ও খুনের। তারা তাদের ধর্ষণ ও গনধর্ষণ
করে, লাঠি, ছুরি ইত্যাদি দিয়ে আগাত করে।
তদের স্তন কেটে দেয়া হয়, জরায়ু কেটে
দেয়া হয় এবং তাদের যোনি পথে মারাক্তক
ভাবে কাঠের রড প্রবেশ করানো হয়। তদের
অধিকাংশকেই টুকরো টুকরো কেটে ফেলা
হয় অথবা আগুনে পুরিয়া মারা হয়। এই
আক্রমের বেশি শিকার হয় তরুণী, বৃদ্ধা
শিশুরা। ২৫০-৩০০ নারীকে খুন করা হয়। খুনের
আগে তাদের অনেককেই ধর্ষণ অথবা গনধর্ষণ
করা হয়।
উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসীরা ৫৬৩ টি মসজিদ
ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া ঐ
দাঙ্গায় আড়াই লক্ষ মানুষকে গৃহহীন হতে হয় ।
বেসরকারী সংস্থাটি বলেছে, ধ্বংসলীলায়
ক্ষতির পরিমাণ তিন হাজার আট শ কোটি
টাকা ।  ঐ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান
তীর্থ শুক্লাবাদ বলেছেন, গুজরাটের রাজ্য
সরকার দুর্গত ৫ হাজার মুসলিম পরিবারের
জন্য কিছুই করছে না । এসব দুর্গত পরিবার
গুলোর ত্রানের ব্যবস্থা করছে বেসরকারী
সংস্থাগুলো । অসহায় মুসলিম পরিবারগুলো
কোন ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না বলেও জানা
গেছে । তাছাড়া গুজরাট রাজ্য সরকারের
কারণে অপরাধীরা কোনরকম শাস্তি
পাচ্ছেনা । মানবাধিকার সংস্থাগুলো
গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার মুসলিম
পরিবার ত্রান শিবিরগুলোতে মানবেতর
জীবনযাপন করছে বলে অভিযোগ করেছে ।
রাজনীতিবিদরা ঐ সব ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে
নানা রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছে, তাদের
নানাভাবে ব্যবহার করছে তবে তাদের
অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।
মুসলমান বিরোধী দাঙ্গা চলাকালে
গুজরাটের প্রধান নগরী আহমেদাবাদের
একটি আবাসিক এলাকায় ২০০২ সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি গুলবার্গ হাউজিং সোসাইটি
গণহত্যার শিকার হন সাবেক কংগ্রেস
সাংসদ এহসান জাফরি-সহ ৬৯ জন সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে
শহীদ করা হয়। ২০০২ সালের ১ মার্চ ওডি
গ্রামে মুসলমানদের প্রায় ২০ বাড়িতে হামলা
চালায় তারা। ওই এলাকার বেশ কয়েকটি
বাড়ির বাসিন্দা একটি তিনতলা বাড়িতে
আশ্রয় নেন। তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলে ২৩
জনের প্রাণহানি হয়। ৩ ঘণ্টা তাণ্ডবের পর
সেখান থেকে মাত্র দু’টি লাশ উদ্ধার করা
হয়। নিহতদের মধ্যে ছিল নয়টি শিশু ও নয়জন
নারী। পরিবারের ১৩ সদস্য হারিয়েছিলেন
মজিদ মিয়া। তিনি বলেন, বাড়ি আক্রান্ত
হওয়ার খবর পেয়ে মাঠ থেকে আমি দ্রুত
ফিরে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। আমি আমার
পরিবারের সদস্যদের উদ্ধারের চেষ্টা করি।
কিন্তু  ততক্ষণে সব শেষ। তার চাচাতো ভাই
শফিক মোহাম্মদ স্ত্রী ও দুই সন্তান হারান।
গত ১০ বছরে মজিদ ও শফিক কয়েকবার
নিজেদের পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শন
করেন। কিন' তাদের মর্মযাতনা কখনো
কমেনি। আদালতের রায় হওয়ার আগে মজিদ
শুধু বলতে থাকেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই।
ন্যায়বিচার ছাড়া আর কিছুই চাই না। নগর-
সভ্যতার ছোঁয়া বাঁচিয়ে গুজরাটের দাহোদ
জেলার দেবগড় বারিয়ার এই মহল্লায় নেই
কোনো নিকাশি,নেই কোনো রাস্তা, পানি
সরবরাহ। কাছাকাছি নেই কোনো ভালো
স্কুল, হাসপাতাল। বেঁচে থাকাটাই এখন বড়
দায়। আর তাই হয়তো এখানে কোনোমতে
মাথা গুঁজে থাকা পৌনে পাঁচশ' মানুষ
কোনোভাবেই এগুলোকে নিজের ঘর বলতে
চান না। অথচ গত ছ'বছর ধরে এই মানুষগুলোকে
এখানেই থাকতে হচ্ছে। এদের সকলেরই
কোথাও না কোথাও মূল গাঁথা ছিল। কোন এক
গ্রামে ছিল জমি-জায়গা, দোকান
পাট, ওদেরও ছেলেমেয়েও স্কুলে যেত।
তারপর এক ‘ওভার থ্রো' মানুষগুলোকে ছুড়ে
ফেলেছে শহর লাগোয়া মফস্বলের এই এক
কোণে। বানিয়ে দিয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর
নাগরিক।
গুজরাট হামলার প্রধান উস্কানি দাতা
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নারেন্দ্র মোদিকে
ভারতীয় হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছে। এমনকি
এই পশুর পরবর্তী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী
প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন ভাবুন
মুসলিমদের জন্য আরও কি দুর্ভাগ্য অপেক্ষা
করছে!ভারতের এই নরেন্দ্র মোদি ২০০২
সালের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার জন্য অনুতপ্ত
নন বলে ঘোষণা করেছেন।  একই সঙ্গে তিনি
বলেছেন, তাকে বহনকারী মোটরগাড়ি
কোনো কুকুর ছানাকে চাপা দিলে সে জন্য
দুঃখ অনুভব করবেন তিনি(কিন্তু মুসলিম
হত্যার জন্য নয়!!)বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে
দেয়া সাক্ষাতকারে এ সব কথা বলেছেন উগ্র
হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি
(বিজেপি)’র উগ্রবাদী এ নেতা। রয়টার্সকে
দেয়া সাক্ষাতকারে মোদি আরো দাবি
করেন, ‘আমি যদি অপরাধ করে থাকতাম
তবে অনুশোচনায় ভুগতাম।’...হিন্দু পরিবারে
আমার জন্ম, আমি হিন্দু জাতীয়তাবাদী এবং
দেশভক্ত। এতে কোনো অন্যায় নেই।"
মোদির বক্তব্যের লিংকঃ http://
www.thehindu.com/news/national/no-guilty-
feeling-about-gujarat-riots-says-modi/
article4908704.ece http://in.news.yahoo.com/
no-guilty-feeling-gujarat-riots-says-
modi-142709325.html
একটি ট্রাইব্যুনালের হিসেব হলো, নরেন্দ্র
মোদীর নেতৃত্বে ওই গণহত্যা পর্বে ঘরছাড়া
হতে হয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে।
এখনো হাজার চারেক পরিবারকে কাটাতে
হচ্ছে রহিমাবাদ সোসাইটির মতো রিলিফ
কলোনিতে। পারেননি ঘরে ফিরতে, কেননা
তারা যে মুসলিম, তারা যে চতুর্থ শ্রেণীর
নাগরিক।
এত বছর পরও তারা ঘরছাড়া, কেন? কোথায়
ছিল তাদের ঘর? রহিমাবাদ সোসাইটিতে
গিয়ে একবার প্রশ্নটা করেই বুঝতে
পাবেন, কেন আজও তারা এখানে। একটু কথা
বললেই এদের মুখে উঠে আসবে বিলকিস বানুর
নাম। অন্তঃসত্ত্বা যে মহিলাকে মোদীর
বাহিনী পরপর ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছিল।
মেরে ফেলেছিল বিলকিস বানু পরিবারের
আরো ১৪ জনকে। সেই ভয়াবহ রাতের আতঙ্ক
আজও কথার ফাঁকে টের পাওয়া যায় এদের
চোখে-মুখে!