খেলাধুলা

সাকিবের ম্যাচে বরিশালের জয়

আগের দিন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর খেলা প্রথম দুটি বলেই দুটি বাউন্ডারি মেরে ইনিংস শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সে ওভারেই মৃত্যুঞ্জয়ের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ায় থামে সাকিবের ইনিংস। আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষেও ক্রিজে এসে বাউন্ডারিতে শুরু হয় সাকিবের ইনিংস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অফ স্পিনার খুশদিল শাহর বলটি কাট করলে বল স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে যায় বাউন্ডারিতে। তবে গতকালের মতো আজ অল্পতেই থামেনি সাকিবের ইনিংস। ছন্দে থাকার পুরো ফায়দা নিয়েছেন এই বাঁহাতি। ৪৫ বল খেলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সাকিবের ইনিংসের সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান করে বরিশাল। রান তাড়ায় কুমিল্লার টপ অর্ডারে কেউই সাকিবের মতো বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে থেমেছে কুমিল্লার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ১২ রানে জিতেছে বরিশাল। কুমিল্লার হয়ে খেলতে আজই ঢাকায় পা রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম আসায় তাঁর দিকেই ছিল সবার দৃষ্টি। কিন্তু লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনে নেমে ভালো শুরুর পর ইনিংস লম্বা হয়নি রিজওয়ানের। ১১ বল খেলে ২টি ছক্কায় ১৮ রান করেছেন তিনি। লিটন অবশ্য ভালো খেলছিলেন। মনে হচ্ছিল এবারের বিপিএলের প্রথম ফিফটিটা বুঝি আজই পেয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু ২৬ বল খেলে ৩২ রান করে রানআউট হয়ে থামে লিটনের ইনিংস। এরপর আরেক পাকিস্তানি খুশদিল শাহ ছাড়া মিডল অর্ডারের কেউই ম্যাচ জেতানোর সম্ভাবনা জাগাতে পারেননি। তিনি ২৬ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। ১টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল এই বাঁহাতির ইনিংসে। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সাকিবের ধারেকাছে কেউ ছিল না। তাঁর ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান নিতে পেরেছে কুমিল্লা, উইকেট নিয়েছেন ১টি। ওদিকে বরিশালের ইনিংসও একাই টেনেছেন সাকিব। স্পিন হিটিংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনী ছিল সাকিবের ইনিংসটি। ১৮০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ছিল। যার মধ্যে মাত্র দুটি এসেছে কুমিল্লার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তান দলের পেসার হাসান আলীর বোলিংয়ে। বাকি বাউন্ডারিগুলো এসেছে কুমিল্লার তিন স্পিনার নাঈম হাসান, খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেনের বোলিংয়ে। চোটের কারণে কুমিল্লার মূল বোলার মোস্তাফিজুর রহমানকে এক ওভার বল করেই মাঠ ছাড়তে হয়। যে কারণে ইমরুল কায়েসকে অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে বল করাতে হয়েছে। সাকিব সে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। এবারের বিপিএলে এটাই তাঁর প্রথম ম্যাচ।