সিলেট

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

সিলেট এমসি কলেজে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসসহ টিলাগড় ও আশপাশ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আক্তার হোসেন, আবুল হাসান, সাহেল আহমদ, নাজমুল ইসলাম ও পাভেল । সংঘর্ষে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ঘটনাস্থলে শটগানের ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে আনন্দ র‌্যালি বের করে হিরণ-জাহাঙ্গির-মিঠু সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এসময় দীর্ঘদিন থেকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা আজাদ সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে, পুলিশের বাধার কারণে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করেই চলে যায়।

কিছুক্ষণ পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ওই গ্রুপ আবার এমসি কলেজে ঢুকার চেষ্টা করলে ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে টিলাগড় পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে যায়। দুই দফায় ধাওয়ার সময় গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। এছাড়া উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

হিরণ-জাহাঙ্গির-মিঠু সমর্থিত গ্রুপের অনুসারি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাদিকুর রহমান বলেন, আমরা কলেজের নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আনন্দ র‌্যালী বের করি। কিন্তু বহিরাগত অছাত্রদের নিয়ে তারা আমাদের আয়োজনকে বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। এ কারণে তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে তাদের গ্রুপের সাহেল আহমদ, নাজমুল ইসলাম, আক্তার ও পাভেল নামের চার কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে আক্তার ও পাভেলকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


এলএবাংলাটাইমস/এস/এলআরটি