প্রবাস

সড়ক দুর্ঘটনায় সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

সিঙ্গাপুরে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে পান-দ্বীপ এক্সপ্রেসওয়েতে (পিআইই) যাত্রীবাহী একটি ট্রিপার ট্রাকের সাথে গাড়িটির ধাক্কায় একটি লরির পেছনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৭ জন অভিবাসী শ্রমিকের মধ্যে ৩৩ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত বাংলাদেশির নাম তোফাজ্জল হোসেন। তার বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা গেছেন।

অন্য একজন কর্মীকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এবং মৃত্যুর কারণ হিসাবে ৩৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ লরি ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৬ টায় জলান বাহারের বাইরে যাওয়ার আগে চাঙ্গি বিমানবন্দরের দিকে পিআইই বরাবর দুর্ঘটনার বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছিল।

সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, লরির পিছনের বগিতে দু’জনকে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং তাদের হাইড্রোলিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে উদ্ধার করা হয়েছিল।

আহত অন্যান্য লরি যাত্রীদের সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে এবং এনজি টেং ফং জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরে দু’জন শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ফেসবুক ভিডিওতে দুর্ঘটনার পরে দেখা যায়। বেশিরভাগ শ্রমিকরা রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যার চারপাশে কমপক্ষে দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রয়েছে।

ভূমি পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণে পাইওনিয়ার রোড উত্তর পর্যন্ত ট্র্যাফিক ব্যাক আপ করা হয়েছিল।

 
শ্রমিকদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে আহতরা সবাই বিদেশী কর্মী যারা ব্রাইট এশিয়া কনস্ট্রাকশন কম্পানিতে কাজ করেন।

মৃত বাংলাদেশির লাশ দেশে পাঠানোর বিষয়ে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে লেবার কাউন্সিলর আতাউর রহমান জানান, আমরা সিঙ্গাপুর পুলিশের কাছ থেকে বিস্তারিত নিউজ পেয়েছি এবং আমরা অত্যান্ত দুঃখ প্রকাশ করছি, আমরা আমাদের কোনো প্রবাসী ভাইয়ের এমন নির্মম মৃত্যু আশা করিনা। সিঙ্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি আমাদের মেইল পাঠালে আমরা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবো। এই বিষয়ে হাইকমিশনের সর্বাত্বাক সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এ