বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর এমপি হোস্টেলের বাসা ছাড়লেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

সংসদীয় কমিটির লাল নোটিশ ও প্রধানমন্ত্রীর হুমকিতেও এমপি হোস্টেলের (ন্যাম ভবন) বাসা ছাড়ছিলেন না মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য। সর্বশেষ সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা বাসা ছেড়েছেন। তবে, এখনো একজনের ফ্ল্যাটের চাবি বুঝে পায়নি সংসদ সচিবালয়।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বারবার তাগাদা দেয়ার পরও এমপি হোস্টেলের কয়েকটি ফ্ল্যাট খালি না হওয়ায় ফ্ল্যাটগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় এমপিদের আবাসন ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্বে থাকা ‘সংসদ কমিটি’। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে মানিক মিয়া এভিনিউ-এর ৪ নং ভবনের ৪০১, ২ নং ভবনের ৯০৩, ৬ নং ভবনের ৯০২ নম্বরসহ কয়েকটি ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গণপূর্ত বিভাগ। এরপর মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা তাদের দখলে থাকা ওই সকল ফ্ল্যাটের চাবি সংসদ সচিবালয়ের হোষ্টেল শাখাকে বুঝিয়ে দেয়। তবে এখনো একজনের ফ্ল্যাটের চাবি পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের নতুন মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর অনেকে মন্ত্রীপাড়ায় বাসা নিলেও এমপি হোষ্টেলের বাসা দখলে রাখেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই বাসায় তাদের আত্মীয়-স্বজন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের থাকতে দেখা যায়। গত ১১ জুলাই সংসদ অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাসা দখলে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুইজন মন্ত্রী, ৫ জন প্রতিমন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রীকে চূড়ান্ত নোটিশও দেয়া হয়। সর্বশেষ ফ্ল্যাটগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, আইন প্রণেতাদের আবাসস্থল ‘এমপি হোষ্টেল’ হিসেবে ব্যবহৃত হয় মানিক মিয়া এভিনিউস্থ ন্যাম ফ্ল্যাটের ৬টি ও নাখাল পাড়াস্থ পুরানো এমপি হোষ্টেলের ৪টি ভবন। সেখানে ছোট-বড় দুই ধরণের ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে প্রথমবার নির্বাচিতদের এক হাজার ২৫০ বর্গফুট ও একাধিকবার নির্বাচিতদের এক হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ২১৬টি ও নাখালপাড়ায় ৯১টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর মন্ত্রিপাড়ায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের জন্য পৃথক আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।