বাংলাদেশ

মাজেদের সঙ্গে শেষ দেখা করলেন স্বজনরা, যেকোন সময় ফাঁসি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি ক্যাপ্টেন (চাকরিচ্যুত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে তার স্বজনরা কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শেষ দেখা করেছেন।

কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষ মাজেদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে ফোন করে শেষ দেখা করার তথ্য জানায়। সন্ধ্যার পর মাজেদের স্ত্রীসহ পাঁচজন দেখা করার জন্য কারাগারে যান।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জল্লাদের একটি দল। যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড। এটি কার্যকর হলে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম ফাঁসি হবে। তবে শুক্রবার রাতে ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য মিলেনি। শনিবার অথবা রবিবার ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা বেশি বলেও জানায় সূত্রটি।

কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে ১০ সদস্যের একটি জল্লাদ টিম গঠন করেছে। জল্লাদ টিমে রয়েছেন শাজাহান, আবুল, তরিকুল, সোহেলসহ ১০ জন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, কারা কর্তৃপক্ষ আসামির স্বজনদের ফোন করে দেখা করতে বলেছে। এটাই শেষ দেখা।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

৮ এপ্রিল মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন