বাংলাদেশ

পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি না পেলে জুলাই সনদে সইয়ে অস্বীকৃতি এনসিপির

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার কারণ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মতে, সনদের বাস্তবায়ন আদেশ ও পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা না দেখা পর্যন্ত তারা এতে সই করবে না। এনসিপির ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। পোস্টে তিনি লিখেন, এনসিপি মনে করে, জুলাই সনদ কেবল রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল নয়—এর মূল লক্ষ্য রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি ভেঙে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটানো। তাই এর সুস্পষ্ট আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি থাকতে হবে।
দলটি অভিযোগ করে, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বছর কাজ করলেও সনদের অঙ্গীকারনামায় বাস্তবায়ন পদ্ধতির উল্লেখ নেই, যা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। অতীতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিজ্ঞতার কারণেও তারা সতর্ক। এনসিপি তিনটি নির্দিষ্ট শর্ত দিয়েছে—
১. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের পূর্ণাঙ্গ টেক্সট ও গণভোটের প্রশ্ন আগেই প্রকাশ করতে হবে।
২. প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে আদেশটি জারি করবেন।
৩. গণভোটে জনগণ সনদের পক্ষে রায় দিলে, পরবর্তী সংসদ গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ‘বাংলাদেশ সংবিধান ২০২৬’ প্রণয়ন করবে, এবং কোনো ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) কার্যকর থাকবে না।
এনসিপির দাবি, এসব নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত হবে না। তাই বাস্তবায়ন আদেশে এই বিষয়গুলোর স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেই তারা সনদে স্বাক্ষর করবে। এনসিপি আরও বলেছে, অন্যান্য দল যেসব আদর্শিক কারণে সই করেনি—বিশেষত ১৯৭২ সালের সংবিধানের মৌলনীতি রক্ষার যুক্তিতে—তাদের সঙ্গে এনসিপির অবস্থানের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস