বাংলাদেশ

নারিসনগরে হামলা বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের অংশ : হানিফ

বিএনপি-জামায়াতের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারিসনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিএনপি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চায়।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার (০৫ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

‘বাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগ‌রে মন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হা‌ফিজ উ‌দ্দিন আহমেদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবং স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যাতে করে বিছিন্নএই ঘটনাটি আর না বাড়ে।’

বিএনপি হাঠাৎ করে ওইখানে কর্মসূচি ঘোষণা দেয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু করার জন্য বিএনপি মাঠে নেমেছে।এছাড়া যখন এ ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে, ঠিক তখনই আবার ৬টি বাড়ি হামলা হল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

নাসিরনগরের হামার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বিএনপির পক্ষে হাফিজ উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সাল থেকে ৯৬ পর্যন্ত এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির ক্ষমতায় থাকায়কালে ভোলার তমিজউদ্দিনে হিন্দু পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন নেমে আসে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের নির্দেশে এ নির্যাতন চালানো হয়। আর তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হল হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা পরিদর্শনের জন্য। এটা উপহাস, পরিহাস ছাড়া ‍কিছুই না।’

বিএনপির কখনই সংখ্যালঘুদের পাশ্বে দাঁড়ায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাফিজ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সকারেরর দালাল ছিলেন।’

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামাতায়ের ৭১ এর প্রেত্মাতারা সরকারের উন্নয়ন নস্যাৎ করার চক্রান্তে নতুন কৌশল হিসেবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ধ্বংস করতে মিথ্যা পোষ্ট দিয়ে পরিবেশ অস্থিতশীল করতে চায়।’

হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে মস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি ছয় বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তারে বিরুদ্ধে অযৌগতিক মন্তব্য গ্রহণ যোগ্য হবে না। তিনি নিজেও বলেছেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। যদি কেউ প্রশান দিতে পাড়েন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাফিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার করা হবে কী না-এমনটা জানতে চাইলে হানিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের বিচার চলছে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলে অবশ্যই তাদেরে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতার বহিস্কার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কাউকে বহিস্কার করা যায় না। কাউকে বহিস্কার করতে হলে কেন্দ্র থেকে করতে হয়। কেন্দ্র থেকে কাউকে বহিস্কার করা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধূরী,একে এম এনামুল হক শামীম, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিদ রায় নন্দী, তথ্য গবেষণ বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলি প্রমুখ।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি