গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন লিটন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও রমেক সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে ৩ যুবক দেখা করার কথা বলে তার বাড়িতে ঢুকে। বাড়িতে ঢুকে তিন যুবকের একজন এমপির শ্যালককে জিজ্ঞেস করে এমপি কোথায়। শ্যালক বলেন এমপি বাংলো ঘরে আছেন। এ সময় তিন যুবকের দুজন এমপির সঙ্গে দেখা করতে যায় এবং এক যুবক মোটরসাইকেলে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই দুই যুবক এমপিকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় এমপিকে গুরুতর অবস্থায় রমেক হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা দ্রুত তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডাক্তারা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার বিমল চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে তিনি মারা যান। তার বুকে ও হাতে ৪ থেকে ৫ টি গুলি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর এমপি লিটনের পিস্তলের গুলিতে আহত হয় গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদত হোসেন সৌরভ (১২)। এ ঘটনায় সৌরভের বাবা সাজু মিয়া বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
গত ১৫ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে আটক করে। ২৪ দিন জেলহাজতে থাকার পর গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ২৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর সৌরভ বাড়ি ফেরে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন লিটন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও রমেক সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে ৩ যুবক দেখা করার কথা বলে তার বাড়িতে ঢুকে। বাড়িতে ঢুকে তিন যুবকের একজন এমপির শ্যালককে জিজ্ঞেস করে এমপি কোথায়। শ্যালক বলেন এমপি বাংলো ঘরে আছেন। এ সময় তিন যুবকের দুজন এমপির সঙ্গে দেখা করতে যায় এবং এক যুবক মোটরসাইকেলে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই দুই যুবক এমপিকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় এমপিকে গুরুতর অবস্থায় রমেক হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা দ্রুত তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডাক্তারা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার বিমল চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে তিনি মারা যান। তার বুকে ও হাতে ৪ থেকে ৫ টি গুলি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর এমপি লিটনের পিস্তলের গুলিতে আহত হয় গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদত হোসেন সৌরভ (১২)। এ ঘটনায় সৌরভের বাবা সাজু মিয়া বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
গত ১৫ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে আটক করে। ২৪ দিন জেলহাজতে থাকার পর গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ২৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর সৌরভ বাড়ি ফেরে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি