দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই অভিযানের অানুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।
সেনা সদস্যরা সোমবারই জঙ্গিদের দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবারই জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করতে সমর্থ হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইটে’ অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। তবে ‘আতিয়া মহল’ জুড়ে জঙ্গিরা বিস্ফোরক ছড়িয়ে রাখায় পুরো ভবনটিই ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের সদস্যরা মঙ্গলবার দিনভর ভবনটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। এরপর বিকেল ৫টার দিকে ভবনটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছেড়ে দেয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে (আতিয়া মহল) জঙ্গি শনাক্তের পর শুরু হওয়া অভিযান ‘অপারেশন টোয়াইলাইটের’ প্রথম লক্ষ্য ছিল জিম্মিদের উদ্ধার ও জঙ্গিদের নির্মূল করা। এ দুটি লক্ষ্যই পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
ফখরুল আহসান বলেন, সেনাবাহিনী অপারেশনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও বিশেষায়িত কমান্ডো দল পরদিন অভিযান শুরু করে। জানা যায়, ভবনের নিচ তলায় তিন জন পুরুষ ও একজন নারী জঙ্গি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ অবস্থান করছে।
ফখরুল আহসান বলেন, অপারেশন টোয়াইলাইট যে কোন ক্রাইসিস মোকাবেলায় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে সেনাবাহিনী অপারেশন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। অপারেশনের মূলত দুটি প্রায়োরিটি নির্ধারণ করা হয়। প্রথমত, ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা। দ্বিতীয়ত, জঙ্গিদের নির্মুল করা। প্রথম পর্বটি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। কমান্ডোরা তাদের জীবন বাঁজি রেখে ২৫ মার্চ দুপুরে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ২১ শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করেন। এ পর্বটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, এরপর জঙ্গিদের নির্মুল করার অভিযান শুরু হয়। এ পর্বে কমান্ডোদের পাশাপাশি ¯œাইপার দল এপিসিসহ বিশেষায়িত অনেক সদস্য নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন। তিন দিন একটানা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৭ মার্চ বিকেলের মধ্যে চার জন জঙ্গিকে নির্মুল করা হয়। মূলত গতকালই অভিযান শেষ হয়। তবে আরও বিশদ তল্লাশি ও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজকের দিনটি ব্যবহার করা হয়। গতকাল দুটি মৃতদেহ পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি দুটি মৃতদেহ সুইসাইডাল ভেস্টসহ থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় ও পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শে গতকালই সেগুলো বিস্ফোরণ করা হয়। বিস্ফোরণের আগে প্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। সকল কার্যক্রম শেষে আজ বিকেলে ভবনটি ক্রাইম সিন হিসেবে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং অপারেশন টোয়াইলাইটের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই অভিযানের অানুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।
সেনা সদস্যরা সোমবারই জঙ্গিদের দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবারই জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করতে সমর্থ হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইটে’ অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। তবে ‘আতিয়া মহল’ জুড়ে জঙ্গিরা বিস্ফোরক ছড়িয়ে রাখায় পুরো ভবনটিই ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের সদস্যরা মঙ্গলবার দিনভর ভবনটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। এরপর বিকেল ৫টার দিকে ভবনটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছেড়ে দেয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে (আতিয়া মহল) জঙ্গি শনাক্তের পর শুরু হওয়া অভিযান ‘অপারেশন টোয়াইলাইটের’ প্রথম লক্ষ্য ছিল জিম্মিদের উদ্ধার ও জঙ্গিদের নির্মূল করা। এ দুটি লক্ষ্যই পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
ফখরুল আহসান বলেন, সেনাবাহিনী অপারেশনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও বিশেষায়িত কমান্ডো দল পরদিন অভিযান শুরু করে। জানা যায়, ভবনের নিচ তলায় তিন জন পুরুষ ও একজন নারী জঙ্গি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ অবস্থান করছে।
ফখরুল আহসান বলেন, অপারেশন টোয়াইলাইট যে কোন ক্রাইসিস মোকাবেলায় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে সেনাবাহিনী অপারেশন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। অপারেশনের মূলত দুটি প্রায়োরিটি নির্ধারণ করা হয়। প্রথমত, ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা। দ্বিতীয়ত, জঙ্গিদের নির্মুল করা। প্রথম পর্বটি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। কমান্ডোরা তাদের জীবন বাঁজি রেখে ২৫ মার্চ দুপুরে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ২১ শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করেন। এ পর্বটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, এরপর জঙ্গিদের নির্মুল করার অভিযান শুরু হয়। এ পর্বে কমান্ডোদের পাশাপাশি ¯œাইপার দল এপিসিসহ বিশেষায়িত অনেক সদস্য নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন। তিন দিন একটানা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৭ মার্চ বিকেলের মধ্যে চার জন জঙ্গিকে নির্মুল করা হয়। মূলত গতকালই অভিযান শেষ হয়। তবে আরও বিশদ তল্লাশি ও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজকের দিনটি ব্যবহার করা হয়। গতকাল দুটি মৃতদেহ পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি দুটি মৃতদেহ সুইসাইডাল ভেস্টসহ থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় ও পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শে গতকালই সেগুলো বিস্ফোরণ করা হয়। বিস্ফোরণের আগে প্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। সকল কার্যক্রম শেষে আজ বিকেলে ভবনটি ক্রাইম সিন হিসেবে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং অপারেশন টোয়াইলাইটের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।