বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে শাসকদলের সংশ্লিষ্টতা জাতিকে হতবাক করেছে। গত কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহে যেসব জঙ্গিদের ধরা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ধোবাউড়া উপজেলা বাঘবেড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন। আরও দুজন আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং যেই ভবন থেকে তাদেরকে ধরা হয়েছে সেই ভবনটিও আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপির বাড়ি। যেমন ভাবে শায়খ আব্দুর রহমান থেকে শুরু করে হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত কেউ কেউ আওয়ামী পরিবারের সদস্য।’
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
সুইডিশ রেডিওতে প্রচারিত সংবাদের জের ধরে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গুপ্তহত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা ফাঁস হয়ে যাওয়াতে এদের কর্মকাণ্ডের বিভৎস রুপ এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের মানুষের বিবেককে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা কিভাবে কোন ব্যক্তিকে গুম করা হয় সেটির তিনটি কৌশলের কথাও উল্লেখ করেছেন। কৌশলগুলি হলো-টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ধরা, তাকে হত্যা করা, লাশ লুকিয়ে ফেলা। নিহতদের মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার আগে লাশের সঙ্গে কিভাবে কংক্রিটের ব্লক বেঁধে দেওয়া হয় অডিও কথোপকথনে সেটিরও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘কার সন্তান কখন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় এ নিয়ে এখন সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার পর সারাদেশ এখন সুইডিশ রেডিওতে অডিওর ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সারাদেশ এখন শোক ও বেদনায় স্তব্ধ। র্যাবের মতো একটি খুনি বাহিনী ব্যবহার করেই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে দমন করান এবং জনগণকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এই সব বাহিনী দিয়েই ক্ষমতাসীনরা আমাদের জনসমাজ থেকে গণতন্ত্র, সহনশীলতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়-বিচার, ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ সবকিছুকেই স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই জঙ্গিবাদ নামক একটি নতুন উপদ্রবের উপসর্গ সারাজাতিকে উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত করে তুলেছে।’
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
সুইডিশ রেডিওতে প্রচারিত সংবাদের জের ধরে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গুপ্তহত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা ফাঁস হয়ে যাওয়াতে এদের কর্মকাণ্ডের বিভৎস রুপ এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের মানুষের বিবেককে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা কিভাবে কোন ব্যক্তিকে গুম করা হয় সেটির তিনটি কৌশলের কথাও উল্লেখ করেছেন। কৌশলগুলি হলো-টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ধরা, তাকে হত্যা করা, লাশ লুকিয়ে ফেলা। নিহতদের মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার আগে লাশের সঙ্গে কিভাবে কংক্রিটের ব্লক বেঁধে দেওয়া হয় অডিও কথোপকথনে সেটিরও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘কার সন্তান কখন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় এ নিয়ে এখন সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার পর সারাদেশ এখন সুইডিশ রেডিওতে অডিওর ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সারাদেশ এখন শোক ও বেদনায় স্তব্ধ। র্যাবের মতো একটি খুনি বাহিনী ব্যবহার করেই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে দমন করান এবং জনগণকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এই সব বাহিনী দিয়েই ক্ষমতাসীনরা আমাদের জনসমাজ থেকে গণতন্ত্র, সহনশীলতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়-বিচার, ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ সবকিছুকেই স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই জঙ্গিবাদ নামক একটি নতুন উপদ্রবের উপসর্গ সারাজাতিকে উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত করে তুলেছে।’
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি