বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সমন জারি

গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। ড. ইউনূস ছাড়াও আরো ১১ জনের বিরুদ্ধে এ সমন জারি করা হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের একটি মামলায় এ সমন জারি করেছেন আদালত।

ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. শাহাদাত হোসেন বুধবার (১২ এপ্রিল) এ সমন জারি করেন। আদালত আগামী ২৩ মে সমনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার ওপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদীদের ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি হয়। বাদীর প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী চার কিলোমিটার জুড়ে পাইপ স্থাপন করে ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকার বালু ভরাট করে।

ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে ১ কোটি ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল প্রদান করে। অবশিষ্ট ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকা পাওনা হলে বাদী তা দেওয়ার জন্য চারটি বিল সাবমিট করলেও বিবাদীরা তা দেয়নি। টাকা না দেওয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন বাদী। তিনি পাওনা টাকা আদায়ের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা তা দেয়নি। এতে বাদী ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকার সঙ্গে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

এ ঘটনায় ৩০ মার্চ ঢাকার সাভারে মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, গ্রামীণ টেলিকমের সিএফও ও বোর্ড সেক্রেটারি, ডেপুটি ম্যানেজার মো. মাহমুদ, প্রতিষ্ঠানটির আইন সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এজিএম ও বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠানটির টেকনিক্যাল বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মো. আসাদ, বিশ্বজিৎ কুমার, প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে অ্যান্ড ডিজাইনের মতিয়ার রহমান।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি