বাংলাদেশ

বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি আগামী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। খুলনা সিটি করপোরেশন ও বার কাউন্সিল নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জিতবে, বিএনপি এ আশা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নানান ছলছুতায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে।’

শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নির্বাচনে আসবে কি আসবে না। এর জন্য আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই।’

বিএনপির হেরে যাওয়ার ট্রেন্ড শুরু হয়ে গেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপির হেরে যাওয়ার ট্রেন্ড শুরু হয়ে গেছে। পর্যবেক্ষকরাও বলছেন খুলনায় দু’তিনটা অনিয়ম ছাড়া প্রত্যেকটাতেই নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে। শুধু বিএনপি এই নির্বাচন মেনে নিতে পারেনি। এক লাখ দশ হাজার ভোট পেয়েছে। নির্বাচন ফেয়ার না হলে বিএনপি এত ভোট পেত? নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তাদের ভোট কমে যাচ্ছে।’

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি বা জামিনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ায়। জামিন এবং মুক্তি দিতে পারে আদালত। এটা সরকারের কোনও বিষয় না। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।’

এ সময় তিনি বিএনপিকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আইনি লড়াইয়ে যান, আইনি লড়াইয়ে আপনারা এক মামলায় জামিন হয়েছে, আরও মামলা আছে। আরও লড়াই করুন, আদালতই জামিন দিতে পারে।’

খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে জামিনের পরও সরকার তাকে মুক্তি দিচ্ছে না বিএনপির এমন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মামলা কয়টা, জামিন কয়টার হবে? আর এটা আমাদের বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ তো মামলাও দেয়নি, জামিনও দেয়নি। এই মামলা করেছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অবিরাম মিথ্যাচার করছে, মনে হচ্ছে এই মামলা যেন আওয়ামী লীগ দিয়েছে। মামলার দণ্ড দিয়েছে আদালত, তাকে মুক্তিও দিতে পারে আদালত, জামিনও দিতে পারে আদালত। আওয়ামী লীগ সরকার জামিন দিতে পারে না।’

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা কি আমাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। মি. হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, তার দেশ কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? আমাদের ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ, তারা আমাদের বন্ধু। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আমরা সুদৃঢ় করতে চাই। আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই।’

দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যালঘু না ভেবে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাবেন কেন। আপনাদের ভোটের মূল্য কম আর মুসলমানদের ভোটের মূল্য বেশি এটা কি সংবিধানে আছে। ভোটের অধিকার সবার সমান। নিজেদের দুর্বল ভাববেন না। মাথা উঁচু করে, শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান।’

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি